পুলিশের বাধা আর সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে ঝালকাঠিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পণ্ড হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মধ্যচাঁদকাঠি এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ও এর সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এম এ মান্নান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম হাসান খান, জাহিদুল ইসলাম, সদস্য সাদ্দাম হোসেন, সদর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নান্না খলিফা, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার ও নলছিটি উপজেলা যুবদল নেতা মাসুদ হোসেন। আহত ব্যক্তিরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টার দিকে শহরের মধ্যচাঁদকাঠি এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। সমাবেশের একপর্যায়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন, সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেনসহ দলের সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সভা শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ওই সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এতে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
লাঠিপেটার একপর্যায়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাচ্চু হাসান খানকে পুলিশ আটক করে গাড়িতে তোলে। তবে বিএনপির নেতা–কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে কিছুক্ষণই পরই বাচ্চু হাসান খানকেকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিলকিস আক্তার জাহান অভিযোগ করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারদলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, শহরের পরিবেশ শান্ত রাখতে তাঁরা চেষ্টা করেছেন। তবে তাঁরা বিএনপির সমাবেশে বাধা দেননি বলে দাবি করেন।
জানতে চাইলে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, বিএনপি নিজেরাই বিশৃঙ্খলা করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।