নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির নেতারা। শনিবার শহরের ছোট বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সয়াবিন তেলের পরে পেঁয়াজ-রসুনসহ সব নিত্যপণ্যের বাজারে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আগুন ধরিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনা শহরের ছোট বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর সরফত আলী বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন সুখে নেই। রাত পোহালেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসছেন। সরকার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি করছে। এখন পেঁয়াজ-রসুনসহ সব পণ্যের বাজারে আগুন ধরিয়েছে আওয়ামী লীগ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন খান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।

নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। শনিবার শহরের ছোট বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তারা নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হচ্ছে। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্যে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁকে ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকেও বিদেশ ভ্রমণে বাধা দেওয়া হয়নি। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।

বক্তারা খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *