অনলাইন ডেস্ক।বুধবার । ৩০ নভেম্বর ২০২২ । ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯ । ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৪
উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের আক্রমণ আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে সহায়ক শক্তি কুর্দ যোদ্ধারা।
সম্প্রতি উত্তর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। কুর্দ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, তুরস্কের এই অভিযান আইএসবিরোধী অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। তুরস্কের এই অভিযানের ফলে ওই অঞ্চলে আইএস ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
বস্তুত, উত্তর সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সহযোগী কুর্দ যোদ্ধারা। সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ) মূলত উত্তর সিরিয়ার কুর্দ যোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি। তারাই ওই অঞ্চল কার্যত নিয়ন্ত্রণ করে। সম্প্রতি তুরস্ক ওই অঞ্চলেই বিমান হামলা চালায়।
সপ্তাহখানেক আগে ইস্তাম্বুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে ছয়জন প্রাণ হারান। তুরস্কের দাবি, কুর্দ সন্ত্রাসীরাই এ কাজ করেছে। যদিও কুর্দদের একাধিক গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই কাজের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। কিন্তু এরদোয়ানের বক্তব্য, তুরস্কে একের পর এক সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কুর্দরা। ইস্তাম্বুল বিস্ফোরণের পর উত্তর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় তুরস্ক। শুধু তা-ই নয়, তুরস্ক জানিয়েছে, তারা এরপর ওই অঞ্চলে সেনা অভিযান চালাবে।এরপরেই মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কুর্দ বাহিনী। এই কুর্দ বাহিনীর সাহায্যেই সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনও কুর্দদের সঙ্গে নিয়ে ওই অঞ্চলে পেট্রোলিংয়ে যায় মার্কিন বাহিনী। তুরস্কের আক্রমণের পর কুর্দরা পেট্রোলিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রও পেট্রোলিং চালাতে পারছে না। এর ফলে নতুন করে আইএস লাভবান হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা।
এসডিএফের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তুরস্কের আক্রমণ নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাশিয়াও জানিয়েছে, তুরস্কের এই আক্রমণ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু মুখের কথায় তারা সন্তুষ্ট নন। তারা চান, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নীতি তৈরি হোক।
এ বিষয়েও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে মুখপাত্র জানান।
সূত্রঃডয়চে ভেলে