অনলাইন ডেস্ক ৩০জুলাই, ২০২২ ১২;৩০ টা

প্রথমত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অভিঘাত। তাতে খরচা গেল ২ হাজার বিলিয়ন ডলার।তারপর শুরু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সারা বিশ্বে শুরু জ্বালানির জন্য হাহাকার। পরপর এই দুটি ঘটনার প্রভাব ধাক্কা দিয়েছে গোটাবিশ্বের অর্থনীতিকে। এরই প্রভাব পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও। জানা গেছে, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে টানা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই দেশটিতে মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বছরের প্রথম তিন মাসে বড় পতনের পরে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। দুই চতুর্থাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিকে সাধারণত মন্দার জন্য একটি শক্তিশালী সঙ্কেত হিসেবে দেখা হয়। বৈশ্বিক মন্দা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যয়ের কারণে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য জানিয়েছেন, মার্কিন অর্থনীতি মন্দার শিকার হচ্ছে না বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তবে তার সমালোচকদের মতে, প্রবীণ এই ডেমোক্র্যাটের অর্থনীনৈতিক অব্যবস্থাপনার প্রমাণ হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে ১ দশমিক ৬ শতাংশ পতনের পর রফতানি বাড়লেও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অটো এবং আবাসিক ভবনসহ সব পণ্যের ওপর সরকারি ব্যয় এবং বেসরকারি বিনিয়োগ কমেছে।

কভিড লকডাউনের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় এবং ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়েছে। এর ফলে মার্কিন অর্থনীতিকে এখন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *