ফল ও সবজির সঙ্কট
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে পরিচ্ছন্ন ফল ও সবজির সঙ্কটে পড়েছে ব্রিটেন। দেশটির সর্বত্র নাগরিকদের একসাথে বেশি পরিমাণ সবজি কিনতে নিষেধ করা হচ্ছে। এই সঙ্কট তীব্র হয়েছে টমেটো ও শসার ক্ষেত্রে। এমন অবস্থায় শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সুপারমার্কেট টমেটো, শসা, রাস্পবেরিসহ নির্দিষ্ট কিছু ফল ও সবজি কেনার পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব সবজি বা ফল দুই-তিনটির বেশি কেনা যাচ্ছে না।
ন্যাশনাল ফারমার্স ইউনিয়ন (এনএফইউ) সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে। আবহাওয়াজনিত কারণে উৎপাদন কমেছে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায়। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিধিনিষেধ ও সরবরাহের নিম্নগতি ফেলেছে বিরূপ প্রভাব। বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের সুপারমার্কেটগুলোতেও।
দেশে উৎপাদিত সবজির দিকে আগে সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন ব্র্যাডশ। দেশের ভেতরে এতদিন যারা সবজি ও ফল চাষ করেছে, তাদের অধিকাংশই ক্ষতির সম্ভাবনায় চাষ করেনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করারও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনের বাজারে। কারণ আগে ইউরোপীয় বাজার থেকেই সবজি ও ফল সংগ্রহ করা হতো। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সবজি বাজারের বড় অংশই মরক্কো ও স্পেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সম্প্রতি বন্যা ও তুষারপাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে স্পেন ও উত্তর আফ্রিকার সবজি উৎপাদন।
এ দিকে ক্রেতাদের জন্য পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে আলদি, আসদা ও মরসিনের মতো স্টোরগুলো। টেস্কো ও আলদি মাত্র তিনটি করে টমেটো, গোলমরিচ ও শসা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। অন্য দিকে লেটুস, সালাদ ব্যাগ, ব্রকোলি, ফুলকপি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আসদা। মরিসন মাত্র দু’টি করে টমেটো, শসা, লেটুস ও গোলমরিচ কিনতে অনুমতি দিচ্ছে।
খারাপ আবহাওয়া ও পরিবহনজনিত কারণে প্রভাব পড়েছে অন্যান্য সবজি ও ফলের বাজারেও। পরিবেশমন্ত্রী থেরেসা কফে দাবি করেন, ‘আমি জানি ভোক্তারা একটা বর্ষব্যাপী পরিকল্পনা চাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের সুপারমার্কেট ও খাদ্য সরবরাহকারীরা সেটাই করার চেষ্টা করছেন।’ পরিবেশমন্ত্রী জনগণকে পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে কমে এসেছে পেঁয়াজ সরবরাহও। এর মধ্যে বেশকিছু সুপারমার্কেট থেকে পেঁয়াজের ঘাটতির খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্রঃদ্য গার্ডিয়ান