আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ছয়টি দেশের মুদ্রা ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মার্কিন ডলারের। বেশ শক্ত অবস্থানেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের এই মুদ্রার। তবে প্রথমবারের মতো প্রধান ছয় আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম কমেছে। সর্বশেষ আড়াই মাস চীনা মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে ডলারের উচ্চ ভাব ছিল। তবে গতকাল শুক্রবার এই উচ্চ ভাব কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ পলিসির জন্যই এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে। এর জেরে বারবার সুদের হার বাড়িয়েছে দেশ দু’টির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে উল্টো পথে হাঁটছে চীন। সুদের হার কমিয়েছে তারা। আর এতেই বাজিমাত কেরেছে চীনা মুদ্রা ইয়েন। শক্ত করেছে নিজেদের ভিত্তি। রয়টার্স বলছে, ছয় সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে কমছিল চীনা মুদ্রা ইয়েনের মান। তবে শুক্রবার এটি নিজের অবস্থান শক্ত করে পুরনো জায়গায় ফিরে এসেছে।
ডলার ইনডেক্সের তথ্যানুযায়ী, ইয়েন, ইউরোসহ আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের গড় মান কমেছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। জাপানের মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক তিন শতাংশ। প্রতি ডলারে দাম স্থির হয়েছে ১৩৬.০২ ইয়েনে। প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান মুদ্রা ইউরোর মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। ইউরোপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে এক দশমিক শূন্য ৬১৪ ডলারে।
ব্রিটেনের মুদ্রা পাউন্ডের মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক চার শতাংশ। আর অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের শক্তি অস্থায়ী ছিল এবং বছরের মধ্যে মুদ্রাটি দুর্বল হয়ে পড়বে। বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতি ও প্রত্যাশার মধ্যেও ফেড সুদের হার বাড়াচ্ছে। এ জায়গায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে ফেড।’

সূত্রঃরয়টার্স