খেলার শেষ বাঁশি বাজতে তখন বাকি মাত্র ১ মিনিটের মতো। রেফারিও হয়ত খেলা শেষের বাঁশি বাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে রীতিমতো বিধ্বস্ত হওয়া ইরান জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছিল।
ঠিক এমন সময় ওয়েলসের ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান ইরানিয়ান ডিফেন্ডার রোজবেহ চেসমি। কিছু বুঝে উঠার আগেই আচমকা ওয়েলসের গোলমুখে সজোরে শট মারেন চেসমি। আর তাতে খেলার শেষ বাঁশি বাজার কিছু সময় আগে লিড পেয়ে যায় ইরান।
ওয়েলসের হারও তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় প্রায়। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ওয়েলস দর্শকদের মাথায় হাত পড়ে যায়। দুঃখ শেষ করে মাথা থেকে ওয়েলস দর্শকরা হাত নামাতে যাবেন, ঠিক সেই সময় আবারও আক্রমণ ইরানের। ইনজুরি সময়েই তিন মিনিটের ব্যবধানে ওয়েলসের জালে আবারও গোল করে বসেন ইরানের রামিন রেজাইন।
যার ফলে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোল ব্যবধানের জয়ের হাসি হাসে ইরান। ফেভারিট হয়েও হার দেখে মাঠ ছাড়ে গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।
এদিন ম্যাচে বল দখলেই কেবল এগিয়ে ছিল ওয়েলস। নয়ত পুরো ম্যাচে এককভাবে আধিপত্য দেখিয়েছে ইরান। ম্যাচে তিনবার বল জালে জড়ায় ইরান। তারমধ্যে অফসাইডের কারণে একটি বাতিল হয়। তবে ইনজুরি সময়ে ৩ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে শেষ হাসি ইরানের।
ওয়েলস ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল দখলে রাখলেও ১০ বার আক্রমণে গিয়ে ৩টি শট নিতে পেরেছে। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ বল দখলে থাকলেও ২১ বার আক্রমণে উঠেছিল ইরানিয়ানরা। যারমধ্যে ৫টিই ছিল গোলমুখে।
এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের দুইয়ে উঠে এসেছে ইরান। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও ইরান এই জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশদের পেছনে রয়েছে। অন্যদিকে ১ ড্র ও এই হারে ১ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েলস গ্রুপের তলানিতে রয়েছে।