![](https://news.yoursolutionbd.com/wp-content/uploads/2022/05/123.webp)
‘ওয়ান ব্রিংস টু’
টেস্ট ক্রিকেটের বহুল ব্যবহৃত কথাটা চট্টগ্রাম টেস্টে দুবার মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশ দল। যার ভুক্তভোগী হলো শ্রীলঙ্কা। আজ সকালে শ্রীলঙ্কার দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দীনেশ চান্ডিমাল স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন। মনে হচ্ছিল দুজনই অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যাবেন।
এমন সময় জোড়া ধাক্কাটা দিয়েছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। মধ্যাহ্নবিরতির ঠিক আগে ১১৪তম ওভারের প্রথম বলে চান্ডিমাল আউট হন রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায়। একই ওভারে বোল্ড আউট নিরোশান ডিকভেলা। দ্বিতীয় সেশনেও জোড়া আঘাত শ্রীলঙ্কাকে থমকে দিয়েছে। ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুস ১৭৮ ও বিশ্ব ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
![](https://news.yoursolutionbd.com/wp-content/uploads/2022/05/prothomalo-bangla_2022-05_5c71c912-d100-453d-b315-a190a8d08d09_368693_01_02-1.webp)
নাঈমের জোড়া আঘাতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারের দুর্বল জায়গাটা উন্মুক্ত হয়ে যায়। ৪ উইকেটের বদলে ৬ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার প্রথম সেশন।
বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারে সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতে শ্রীলঙ্কার বড় রানের সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয়। ইনিংসের ১১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নতুন ব্যাটসম্যান রমেশ মেন্ডিসকে আর্ম বলে বোল্ড করেন সাকিব। ঠিক পরের বলেই আউট নতুন ব্যাটসম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে জোরের ওপরে করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান সাকিব। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৩২৮।
বাংলাদেশ দলের সামনে তখন শ্রীলঙ্কাকে সাড়ে তিন শর মধ্যে অলআউট করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেঞ্চুরি করে ডাবল সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা ম্যাথুস মাটি কামড়ে লড়াই চালিয়ে যান। ম্যাথুসকে সঙ্গ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডো। দুজন মিলে শ্রীলঙ্কার আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি। ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুস ১৭৮ ও বিশ্ব ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
তবে মুশফিকুর রহিম ভুল না করলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। ইনিংসের ১৩৯তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিবের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন বিশ্ব। কিন্তু টাইমিং ঠিকমতো না হওয়ায় বল যায় মিড অনে থাকা মুশফিকের কাছে। কিন্তু সহজ উচ্চতা ও গতিতে আসা বলটি তালুবদ্ধ করতে পারেননি মুশফিক।
জোড়া উইকেটের উল্লাসে শুরু হওয়া সেশনটা শেষ হয় ক্যাচ ছাড়ার হতাশা দিয়েই। কে জানে, বিশ্বের ক্যাচটি নিতে পারলে হয়তো শ্রীলঙ্কার শেষ উইকেটও দ্রুতই পেতে পারত বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার উইকেটগুলো তো যুগলবন্দী হয়েই আসছিল!