অনলাইন ডেস্ক বুধবার। ২ নভেম্বর ২০২২ । ১৭ কার্তিক ১৪২৯ । ৬ রবিউস সানি ১৪৪৪
সম্প্রতি সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে। সেখানে সৌদি কর্মকর্তারা ইরানের হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না তারা।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা হুমকির ছবি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং আমরা সৌদির সঙ্গে সামরিক ও গোয়েন্দা চ্যানেলের মাধ্যমে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।
আমরা এই অঞ্চলে আমাদের স্বার্থ এবং অংশীদারদের প্রতিরক্ষায় কাজ করতে দ্বিধা করব না। ’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে প্রথম জানায়, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করেছে। তবে সৌদি আরব বা ইরান কেউই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমন একজন কর্মকর্তা এটিকে ‘শীঘ্রই বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে’ আক্রমণের একটি বিশ্বাসযোগ্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অন্যদিকে ইরান প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সৌদি আরব এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা উসকানি দিচ্ছে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার সৌদির ভাগ করা গোয়েন্দা তথ্যের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ‘এই অঞ্চলের হুমকি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন’।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘হুমকির ছবি নিয়ে উদ্বিগ্ন’।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ২০১৯ সালে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে একটি বড় হামলার পেছনে ইরানকে দোষারোপ করেছে। তবে ইরানা ওই হামলার পেছনে থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
ইরানে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়াও ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করায় ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : আলজাজিরা