২৬ অক্টোবর ২০২২, ১০ কার্তিক ১৪২৮, ২৯ রবিউল আওয়াল ১৪৪৪ হিজরি
উৎপাদনকারীদের সরবরাহ হ্রাসের সিদ্ধান্ত বিশ্বকে ‘প্রথম সত্যিকারের বৈশ্বিক জ্বালানি সঙ্কটের’ মধ্যে ফেলেছে। গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল এই মন্তব্য করেছেন।
সিঙ্গাপুরে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক জ্বালানি সপ্তাহে দেয়া বক্তৃতায় আইইএর এই প্রধান বলেছেন, ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্যে ইউরোপে এলএনজির ক্রমবর্ধমান আমদানি এবং চীনে আবার জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি বাজারকে আরো কঠিন করে তুলবে। আগামী বছর বিশ্ববাজারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ঘনমিটার নতুন এলএনজি আসবে।
বিরোল বলেছেন, একই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারকদের সংস্থা ওপেক এবং এর মিত্র ওপেকপ্লাসের দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন (বিপিডি) কমানোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা বেড়ে দৈনিক প্রায় ২০ লাখ ব্যারেলের কাছাকাছি হতে দেখেছে আইইএ। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বিশ্বের কয়েকটি দেশের অর্থনীতি মন্দার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আমরা যদি বৈশ্বিক মন্দার কথা বলি… তাহলে আমি ওপেক ও ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তকে সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেছি। একই সময়ে জ্বালানির কয়েকটি উৎস দেশে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার মূল্য ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্রঃরয়টার্স