৬. Full-screen Gestures

বর্তমানের নতুন ভার্সনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন গুলোতে Gesture নিয়ন্ত্রণ করার অনেক ভালো উপায় রয়েছে। তবে এটিকেও অনেকে আবার অনেক বেশি সীমিত মনে করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন হতে পারে আরও বেশি অ্যাডভান্স লেভেলের Gesture নিয়ন্ত্রণ। আমাদের ব্যবহৃত স্মার্ট-ফোনগুলোতে ডিফল্ট ভাবে যে বাটনগুলো থাকে, সে গুলোকে চাইলেই নিজের ইচ্ছামত পরিবর্তন করে নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সামান্য কিছুটা পরিবর্তন করে নেবার মত সুবিধা থাকে।

যেমন, আমরা যদি মোবাইল দিয়ে কোন একটি পৃষ্ঠাতে গিয়ে আবার পূর্বের পৃষ্ঠাতে ফেরত আসতে চাই, তবে এক্ষেত্রে আমাদেরকে মোবাইলের নিচের Back বাটনে ক্লিক করতে হয়। আর এক্ষেত্রে আমরা মৌলিক ন্যাভিগেশন বাটন এর বাইরে কোথাও ক্লিক করে ফেরত আসতে পারি না। আর যাদের মোবাইলে ডিসপ্লের উপরে ন্যাভিগেশন বার গুলো থাকে, তারা এক্ষেত্রে অনেক সময় এটিকে বিরক্তিকর অথবা বেশি ঝামেলা মনে করতে পারে। ডিসপ্লের উপর ন্যাভিগেশন বার থাকাতে ঝামেলা মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে, বর্তমানের বেশিরভাগ স্মার্ট-ফোনগুলোতে ন্যাভিগেশন বার গুলো ডিসপ্লের ডানে-বামে Swipe করার মাধ্যমে দেওয়া থাকে। আর আপনি যদি এসব সুবিধা যুক্ত স্মার্ট-ফোন গুলোকে দেখেন, তবে আপনার মোবাইল চালানোর ক্ষেত্রে ফিচারের দিক থেকে এটিকে কিছুটা কম মনে হতে পারে।

Full screen Gestures অ্যাপটি আপনার এই সমস্যার সমাধান করবে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ডিসপ্লের বামে, ডান এবং নিচের প্রান্ত বরাবর হাতের ইশারায় কাজ করতে পারবেন। এবং এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি প্রত্যেকটি প্রান্তে দুইটি করে ফাংশন সেট করে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ, একদিকে ছোট সোয়াইপ এর জন্য একটি ফাংশন এবং দীর্ঘ সোয়াইপ এর জন্য আরেকটি ফাংশন যোগ করতে পারবেন। আপনার ফোনে ডিফল্ট ভাবে থাকা ন্যাভিগেশন বার গুলোকে যদি হাইড করা যায়, তবে আপনি সেটি বন্ধ করে রেখে, এই অ্যাপটির মাধ্যমে ন্যাভিগেশন এর সকল কাজ করতে পারেন।

তবে আপনার ফোনে ন্যাভিগেশন বার থাকলেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করলে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাবেন। আপনি কি Notification Bar দেখার জন্য উপর থেকে নিচের দিকে সোয়াইপ করতে পছন্দ করেন না? তাহলে আপনি Full screen Gestures অ্যাপের মাধ্যমে নিচের থেকে উপরের দিকে সোয়াইপ করার মাধ্যমে Notification Bar কে আনতে পারেন। এছাড়া আপনি যে কোন দিক থেকে Swipe করার মাধ্যমে যেকোনো কিছু নিজের ইচ্ছামত সেট করতে পারেন।

এক্ষেত্রে Swipe করার মাধ্যমে ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করতে, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট চালু করতে, ফ্লাশ লাইট নিয়ন্ত্রণ করা সহ আরো কিছু কাজ করতে Full screen Gestures কে ব্যবহার করতে পারেন। যে অ্যাপটি আপনার এ সবকিছু খুব সহজেই করে দিতে সক্ষম।

Full Screen Gestures

Official Download @ Full Screen Gestures

৭. মাইটিটেক্সট (MightyText)

দৈনন্দিন আপনার কাজ গুলোকে আরো বেশি সহজ করার জন্য MightyText অ্যাপটি অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা মোবাইলে যখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করি, তখন হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল অ্যাপে ব্যবহার করার পাশাপাশি আমরা এটিকে কম্পিউটারে ওয়েবের সঙ্গেও কানেক্ট করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা একই সঙ্গে মোবাইলে এবং কম্পিউটারে ওয়েব এর সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারি। কিন্তু যদি আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে এসএমএস করতে পছন্দ করেন, তবে এক্ষেত্রে একইসঙ্গে মোবাইল এবং কম্পিউটার থেকে মেসেজ করা কিন্তু সম্ভব হয় না। আর তখন একই সঙ্গে মোবাইলে মেসেজ করা এবং কম্পিউটারে কোন কাজ করা আপনার জন্য কিছুটা ঝামেলার এবং বিরক্তিকর মনে হতে পারে।

কিন্তু আপনি যদি আসলেই এসএমএস করতেই বেশি পছন্দ করে থাকেন, তবে আপনার জন্য MightyText থেকে এসএমএস করা একটি অপরিহার্য অ্যাপ হয়ে দাঁড়ায়। মাইটিটেক্সট এমন একটি অ্যাপ, যেটির মাধ্যমে আপনি এই ঝামেলা পূর্ণ কাজকে খুব সহজেই করতে পারেন। অ্যাপটির সুবিধা নিয়ে এই টিউনে আমি আপনাকে কিছুটা ধারনা দেবার চেষ্টা করবো।

MightyText একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন। যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার পিসি, ম্যাক বা লিনাক্স কম্পিউটারের সাথে Syncs করে আপনার স্মার্ট-ফোনকে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে কম্পিউটার থেকেই এসএমএস গুলোকে সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস করতে পারেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র আপনার ফোনের মেসেজ গুলো কে কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করাই নয়, বরং আপনার ফোনের আরো অনেক কাজগুলোকে আপনি কম্পিউটার দ্বারাও করতে পারেন। যেখানে MightyText অ্যাপটির মাধ্যমে কোন একটি ম্যাসেজ আপনি কম্পিউটার থেকেই দেখতে পারেন এবং কম্পিউটার থেকেই সেটির উত্তর দিতে পারেন।

এখানে সব থেকে মজার ব্যাপার হলো, কম্পিউটার থেকে আপনি সেই মেসেজটি রিপ্লাই দিলেও, সেটি আপনার সেই মোবাইল থেকেই সেন্ড হবে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে কম্পিউটার থেকে কোন ধরনের চার্জ কাটবে না বা অপর-প্রান্তের ব্যক্তি কিছুই বুঝতে পারবে না। এছাড়া আপনি এই অ্যাপটির মাধ্যমে কম্পিউটার থেকেই কাউকে কল করতে পারবেন। আর কম্পিউটারে MightyText অ্যাপ ব্যবহার করে কাউকে কল করলে, অপর-প্রান্তের ব্যক্তির কাছে আপনার মোবাইলের নাম্বারটিই প্রদর্শিত হবে। MightyText অ্যাপ ব্যবহার করে শুধুমাত্র কল দেওয়া কিংবা এসএমএস দেখাই নয়, বরং আপনি আপনার মোবাইলে তোলা ছবিগুলো কেও কম্পিউটারে থেকে অ্যাক্সেস করতে পারেন।

এছাড়া আপনার সেই মোবাইলে যেসব Contacts list এর নাম্বার গুলো রয়েছে, Call history এবং সমস্ত মেসেজ ইত্যাদি সমস্তই দেখতে পাবেন। তবে এই অ্যাপটি বিনামূল্যের ভার্সনে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মাসিক কিছু সীমা রয়েছে। তবে আপনি যদি অনেক বেশি Heavy user হয়ে থাকেন, তবে আপনি এটির প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।

MightyText

Official Download @ MightyText

৮. ইউনিভার্সাল কপি (Universal Copy)

আমাদের কিন্তু বিভিন্ন কাজে অনেক ওয়েবসাইট থেকে অনেক আর্টিকেল অথবা লেখাকে কপি করার প্রয়োজন হতে পারে। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কপি এবং পেস্ট করে থাকি, যতক্ষণ পর্যন্ত এটি কাজ করতে থাকে। তবে কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে, যেগুলোর ভেতরে কোন লেখাকে কপি করা যায় না। এছাড়া এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেসব ওয়েবসাইট থেকেও কোনো আর্টিকেল কপি করা যায় না। এক্ষেত্রে এই বিষয়টি আমাদের কাছে অনেক বেশি হতাশাজনক লাগে।

তবে এতদিন হয়তোবা আপনার কাছে এই বিষয়টি অনেক হতাশাজনক ছিল। কিন্তু বর্তমানে আপনি Universal Copy ব্যবহার করার মাধ্যমে, যে কোন অ্যাপ থেকে প্রায় যেকোনো কিছু কপি এবং পেস্ট করতে পারবেন। এমনকি Universal Copy ব্যবহার করার মাধ্যমে কোন একটি ছবি থেকেও টেক্সট কপি করতে পারবেন। এই অ্যাপটি আপনার মোবাইলের সিস্টেম এর সঙ্গে জুড়ে গিয়ে কাজ করবে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, অ্যাপটিকে অবশ্যই আপনাকে Accessibility থেকে অনুমতি প্রদান করতে হবে।

আপনি এই অ্যাপটিকে একবার অনুমতি প্রদান করলে, এটি আপনার মোবাইলের বিজ্ঞপ্তি প্যানেলে বা Notification Bar-এ একটি নোটিফিকেশন আকারে প্রদর্শিত থাকবে। এর পরবর্তীতে আপনি যখন কোনো একটি অ্যাপে গিয়ে অথবা কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি লেখাকে কপি করতে চাইবেন, তখন বিজ্ঞপ্তি প্যানেলে প্রদর্শিত সেই লেখাতে ক্লিক করবেন এবং তারপর দীর্ঘ প্রেস দিয়ে সেই লেখাকে কপি করতে পারবেন।

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপ থেকে অনেক লেখাকে কপি করতে চাই। কম্পিউটারে যদিও প্রায় সমস্ত লেখা কপি হয়। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যখন মোবাইল থেকে কোন লেখাকে দীর্ঘ সময় প্রেস করে ধরে থাকলেও কপি হয়না। যেমন ধরুন, ইউটিউব থেকে আপনি কোন একটি ভিডিওর ডেসক্রিপশন সম্পূর্ণভাবে কপি করতে চাইছেন। কিন্তু কম্পিউটার দিয়ে এটি সহজ ভাবে করা গেলেও, মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে এটি করা কিন্তু সম্ভব নয়‌।

ইউটিউব থেকে কোন ভিডিওর ডেসক্রিপশন মোবাইল দিয়ে কপি করতে হলে অবশ্যই ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি Universal Copy অ্যাপটিকে ব্যবহার করেন, তবে আপনি এই কাজটি অ্যাপ থেকেও সহজভাবেই করতে পারবেন। এভাবে করে যেকোনো জায়গা থেকে ইউনিভার্সাল কপি অ্যাপটি ব্যবহার করে সমস্ত লেখাগুলো কপি করতে পারবেন, যা সত্যিই অনেক অসাধারণ ব্যাপার।

Universal Copy

Official Download @ Universal Copy

৯. Sesame

Sesame মোবাইল অ্যাপ টি সার্চ করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক শর্টকাট তৈরি করতে পারে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনার ব্যবহৃত সর্বাধিক অ্যাপগুলোকে খুব সহজেই আপনি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। অর্থাৎ, বর্তমানে আপনি যে সময়ে কোন কিছু ওয়েব থেকে অনুসন্ধান করছেন অথবা আপনার মোবাইলের কাজগুলোকে করছেন, এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি সেই কাজগুলোকে আরো দ্রুততার সঙ্গে করতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে প্রত্যেকটি অ্যাপের জন্য শর্টকাট তৈরি করতে হবে। এই অ্যাপটি এতই ভালো যে, আপনার কাছে Sesame অ্যাপটি সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যাপে পর্যন্ত হতে পারে।

Sesame অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি কোন একটি কি-ওয়ার্ড টাইপ করে, সেটি দিয়ে সমস্ত মাধ্যমে এক ক্লিকেই অনুসন্ধান করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ মনে করুন, আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে ফেসবুক অ্যাপ ডাউনলোড করতে চান। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই প্রথমে চলে যাবেন গুগল প্লে স্টোরে এবং সেখানে গিয়ে ফেসবুক অ্যাপের নাম লিখে সার্চ করবেন। কিন্তু আপনি যদি Sesame অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন, তবে এই অ্যাপের সার্চ বারে গিয়ে Facebook লিখলে, আপনার সামনে নিচে কয়েকটি অ্যাপের আইকন চলে আসবে। এবার আপনি ফেসবুক লেখাটি দিয়ে কোন প্লাটফর্মে সার্চ করতে চাচ্ছেন, সেই অ্যাপ এর উপরে ক্লিক করলে, সরাসরি সেই প্লাটফর্মে আপনার লেখাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান হবে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি Facebook লিখে প্লে স্টোরের উপর ক্লিক করেন, তবে আপনাকে প্লে স্টোরে নিয়ে গিয়ে ফেসবুক অ্যাপ টি দেখাবে। আর এক্ষেত্রে আপনি যদি Facebook লিখে ইউটিউব আইকন এর উপর ক্লিক করেন, তবে আপনাকে ইউটিউবে ফেসবুকে লিখে অনুসন্ধান করে সার্চ ফলাফল এনে দিবে। Sesame অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অ্যাপের শর্টকার্ট, যেমনঃ স্পটিফাই এর মত অ্যাপ গুলোর শর্টকাট তৈরি করার মাধ্যমে খুব সহজেই অ্যাপের বিভিন্ন বিষয় গুলোকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

এই অ্যাপটি বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের শর্টকাট তৈরি করে। আপনার স্মার্টফোনকে ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজ গুলোকে আরো বেশি সহজ এবং দ্রুত করতে, দ্রুত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে, অথবা আপনি যদি দ্রুত পছন্দের খেলার লাইভ স্কোর জানতে চান, তবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র একটি ক্লিক করে সেগুলোকে করতে পারেন। যার ফলে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই অনেক হ্রাস পাবে।

Sesame

Official Download @ Sesame

১০. নোভা লঞ্চার (Nova launcher)

আপনার ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে সবদিক থেকে কাস্টমাইজ করার সর্বোত্তম উপায় হল একটি নতুন Launcher মোবাইলে ইন্সটল করা। তবে প্লে স্টোরে অনেক ধরনের Launcher পাওয়া যায় এবং এসবের মধ্যে থেকে আপনার ক্ষেত্রে নতুন কোন Launcher বেছে নেওয়ার পছন্দ ভিন্নও হতে পারে। তবে এসব অসংখ্য Launcher এর মধ্য থেকে Nova launcher সর্বোত্তম হতে পারে।

এই অ্যাপটি সাইজে অনেক ছোট, দ্রুত, স্থিতিশীল এবং ব্যাপকভাবে কাস্টমাইজ যোগ্য। অর্থাৎ, এই Launcher ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইউজার ইন্টারফেস কে ব্যাপকভাবে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এই লঞ্চারটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করার পর এটির ডিফল্ট সেটিং যদিও অনেক সুন্দর এবং নিখুঁত, তবে Nova Launcher-এ ডিফল্ট সেটিং এর বাইরে আরও কিছু সেটিং রয়েছে, যেগুলো আপনি জানেন না। তবে Nova Launcher থেকে ডিফল্ট সেটিং এর বাইরে অতিরিক্ত সেটিং সেট করলে, আপনার ইউজার ইন্টারফেস আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে।

Nova Launcher সেটিং থেকে আপনার মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপের আইকন পরিবর্তন থেকে শুরু করে যেকোনো Widget এর আকার পরিবর্তন করতে পারেন। Nova Launcher এর মাধ্যমে Gesture নিয়ন্ত্রণ করার অনেক দারুণ ব্যবস্থা রয়েছে। এই লঞ্চার ব্যবহার করে Gesture সেটিং থেকে অনেক শর্টকাট যুক্ত করা যায়, Nova Launcher দিয়ে মোবাইলের বিভিন্ন ফাংশনে ট্যাপ এবং সোয়াইপ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ফাংশন যুক্ত করা যায়। এছাড়া আপনার মোবাইলের আরো এরকম অনেক কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন Nova Launcher এর মাধ্যমে।

আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটিকে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনি Nova Launcher এর Gesture সেটিং গুলোকে পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছামত সেগুলোকে সেট করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটি কিভাবে ব্যবহার হবে, সেটি আপনি নিজে থেকে নির্ধারণ করতে পারেন। Nova Launcher-এ রয়েছে অসংখ্য কাস্টমাইজেশন এর সুবিধা। এখানে আপনি মোবাইলের অ্যাপের সাইজ পরিবর্তন, নাম পরিবর্তন করা সহ অনেক কাস্টমাইজেশন সুবিধা পাবেন। যে ব্যাপারটি আপনাকে Nova Launcher ব্যবহার করতে অনেক বেশি আকৃষ্ট করবে।

এখানে আমি আপনাকে আরো একটি কথা বলি। ‌আর তা হচ্ছে, আপনি যদি কম বাজেটের ফোন ব্যবহার করে থাকেন, তবে অবশ্যই সেই ফোনের ইউজার ইন্টারফেস আপনাকে তেমনটা সন্তুষ্ট করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আপনি যখন অন্য কোন ফোন দেখেন, তখন অবশ্যই আপনার সেই ফোনের প্রতি আগ্রহ জন্মে। এবার আপনি যদি Nova Launcher অ্যাপটিকে ব্যবহার করেন এবং এটির সঠিক কাস্টমাইজ করেন, তবে দেখবেন যে, আপনার ফোনটি ও তাদের ফোনের মত প্রিমিয়াম হয়ে গিয়েছে। বিশ্বাস না হলে আপনি একবার Nova Launcher কে ব্যবহার করেই দেখুন না।

Nova Launcher

Official Download @ Nova Launcher
Official Download @ Nova Launcher Prime

উপরের এসব দুর্দান্ত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস

উপরে আলোচনা করা আশ্চর্যজনক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ গুলো আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে একেবারেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। যে সব অ্যাপগুলো ব্যবহারে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন এর ব্যবহার আরো বেশি সহজ করে তোলে এবং আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে আরো দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এসব অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় কাজটি খুব সহজে এবং স্বল্প সময়ে হয়ে যাবার কারণে আপনার কাছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার হয়ে উঠবে আরও বেশি মজাদার। যাইহোক, উপরে আলোচনা করা এসব অ্যাপগুলোকে আপনি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *