স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কায় আবারও জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। চলমান সংকট নিরসনে আলোচনার জন্য দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সফরের মধ্যেই জ্বালানির দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেয়া হলো। ফলে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছে দেশটির জনগণ।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সরকারি তেল ও গ্যাস কোম্পানি সিলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (সিপিসি) ডিজেলের দাম ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ৪৬০ শ্রীলঙ্কান রুপি করেছে, যা গণপরিবহনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত জ্বালানি। এ ছাড়া পেট্রলের দাম ২২ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৫০ রুপি।  

তেলের নতুন চালান পেতে অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে হতে পারে, শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা এমন তথ্য জানানোর একদিন পরই জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এল।  

এদিকে ভারতের পাঠানো চাল ও ওষুধের একটি চালান পেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার (২৪ জুন) খাদ্য ও ওষুধের এই চালান গ্রহণ করে দেশটি। 

জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট অধিবেশন বাতিল করে শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটিতে পেট্রল সরবরাহও ব্যাপকহারে হ্রাস পাচ্ছে। 

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আমদানিকারকরা খাদ্য, তেল ও ওষুধ কেনার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না। মুদ্রাস্ফীতি দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটির দুই কোটি ২০লাখ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। 

সংসদীয় কর্মকর্তারা জানান, ‘অপ্রয়োজনীয় পেট্রল ব্যবহার’ এড়াতে বৃহস্পতি (২৩ জুন) ও শুক্রবার (২৪ জুন) অধিবেশন বন্ধ ছিল। কদিন আগে একই কারণে স্কুল এবং সরকারি অফিসও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।   

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে চীন, ভারত ও জাপানকে নিয়ে একটি দাতা সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *