মিলানের হয়ে ম্যাচের প্রথম গোলের পর পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রাফায়েল লিয়াও

ইংল্যান্ডে যেমন ম্যানচেস্টার সিটি-লিভারপুল লড়াই, এ মৌসুমে ইতালিতে তেমন লড়াই চলছে দুই মিলানের। সিরি আ-র শিরোপার জন্য সবার আগে আগে ছুটছে এসি মিলান, ওদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে ছুটছে ইন্টার মিলানও। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ছবিটা এ রকম।

এমনিতে মিলান ২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। তবে আজ সান সিরোতে আতালান্তাকে ২-০ গোলে হারানোর পর ইন্টারের সঙ্গে সেই ব্যবধানটা ৫ পয়েন্টে নিয়ে গেছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। ৩৭ ম্যাচ শেষে মিলানের পয়েন্ট ৮৩, ৩৬ ম্যাচ শেষে ইন্টারের ৭৮। অবশ্য আজ রাতেই ক্যালিয়ারির মাঠে ইন্টার জিতে গেলে ব্যবধান আবার ২ পয়েন্টেই নেমে আসবে। শিরোপার লড়াইয়ের মীমাংসা তখন হবে মৌসুমের শেষ সপ্তাহে।

মিলান মৌসুমের শেষ ম্যাচটা খেলবে সাসসুয়োলোরর বিপক্ষে। ওই ম্যাচ জিতে গেলেই ১১ বছর পর সিরি আ-র ট্রফি ফিরবে মিলানে। তবে ১১ বছরের সেই অপেক্ষা ফুরাতে পারে আজই, যদি ক্যালিয়ারির মাঠে ম্যাচটা হেরে যায় ইন্টার। ২০১০-১১ মৌসুমে সর্বশেষ ইতালিয়ান লিগ জেতা দলের একজন অবশ্য আছেন এই মৌসুমের মিলান দলেও—জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। গতকাল অবশ্য মাঠে নামা হয়নি তাঁর, বেঞ্চে ছিলেন। গ্যালারিতে ছিলেন ইব্রার স্ত্রী-পুত্রও।

মিলানের দুই গোলদাতা, থিয়াও ও হার্নান্দেজ

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর মিলানকে ৫৬ মিনিটে এগিয়ে দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রাফায়েল লিয়াও। জুনিয়র মেসিয়াসের পাস থেকে পাওয়া বল আতালান্তার জালে পাঠাতে ভুল হয়নি তাঁর। তবে মিলানকে নিশ্চিন্ত করা গোলটা এসেছে ৭৫ মিনিটে থিও হার্নান্দেজের দুর্দান্ত এক দৌঁড়ের পর। নিজেদের ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে এক দৌঁড়ে সেটা নিয়ে চলে যান আতালান্তার বক্সের সামনে। শট নেওয়ার আগে অবশ্য আতালান্তার দুই-তিনজনকে কাটাতে হয়েছে তাঁর। আতালান্তার গোলরক্ষক হুয়ান মুসো শেষ চেষ্টা করেও রুখতে পারেননি গোল।

এই হারের পর পয়েন্ট তালিকার ৮ নম্বরে নেমে গেছে আতালান্তা। ৩৭ ম্যাচ শেষে ওদের পয়েন্ট ৫৯। ৩৬ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে লাৎসিও, ৩৭ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে রোমা ছয়ে, ৩৬ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে সাতে ফিওরেন্তিনা। সেরা ছয়ের মধ্যে থেকে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করার আশা তাই একেবারে শেষ হয়ে যায়নি আতালান্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *