অনলাইন ডেস্ক ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২০ আশ্বিন ১৪২৯, ৮ রবিউল আওয়াল ১৪৪৪ হিজরি
রেমিট্যান্সের পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ও কমে গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এই মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের মোট আয় হয়েছে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৪১৬.৫ কোটি ডলার।
দেখা যাচ্ছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় রপ্তানি আয় ৬.২৫ শতাংশ কমে গেছে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে তৈরি পোশাক থেকে। এই সময়ে এই খাত থেকেই আয় হয়েছে ৩১৬ কোটি ডলার।
এরপরেই রয়েছে হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদি।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পোশাকের মূল বাজার পশ্চিমা দেশগুলোতে পণ্যের চাহিদা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ।
প্রথম কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে মূল্যস্ফিতি বেড়ে যাওয়ার ফলে ওই সব দেশে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ঘটেছে, ফলে ভোক্তাদের নতুন ফ্যাশনের প্রতি আকর্ষণ কমে গেছে।
”আমাদের ক্রেতারা প্রথমে যেভাবে গার্মেন্টস পণ্যের অর্ডার দিয়েছিলেন, তাদের বিক্রি সেভাবে হয়নি। ফলে তারা নতুন করে পণ্য নেয়ার ক্ষেত্রে ধীর গতি বেছে নিয়েছে। এটারই একটা প্রভাব পড়েছে আমাদের রপ্তানি আয়ের ওপর।”
অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলোতে ডলারের বিপরীতে ইউরো ও পাউন্ডের বিনিময় মূল্য কমে যাওয়ায় তাদের আমদানির খরচ বেড়েছে এবং এর ফলে ওইসব দেশেও আমদানি কমছে বলে জানান মি. পারভেজ।
একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম বড় রিটেইলার ওয়ালমার্ট আগে যে ধরনের পোশাকের অর্ডার দিয়েছিল, পরে তারা বিক্রি মন্দা দেখে সেটা কমিয়ে দিয়েছে। রাশিয়ার বাজার থেকে এইচএন্ডএম বেরিয়ে আসায় সেখানে তাদের ৫০০ স্টোর বন্ধ হয়ে গেছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের এই শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আশঙ্কা করছেন যে অন্ততঃ আগামী দুই মাস এই ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ডিসেম্বর মাসে ক্রিসমাসের কেনাকাটা শুরু হওয়ায় তখন অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান যে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে, ফলে রেমিট্যান্স বা রপ্তানি আয় সামান্য কমলেও আমদানির মূল্য পরিশোধে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
“ফলে এখনও আমাদের উদ্বেগের কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।”
সূত্রঃবিবিসি