অনলাইন ডেস্ক ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৫৬
গত এক সপ্তাহে ৬৬ হাজার রাশিয়ান ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঢুকেছেন বলে ইইউ বর্ডার কন্ট্রোল এজেন্সি জানিয়েছে।
গত এক সপ্তাহে ইউরোপে রাশিয়ান ঢোকার সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে।
তাদের বক্তব্য, যারা আসছেন তাদের অধিকাংশের কাছেই বৈধ ভিসা আছে। অনেকেই দ্বৈত নাগরিক। ফলে তাদের ইউরোপে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে না। ফিনল্যান্ড এবং এস্তোনিয়ার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢুকছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
ফ্রনটেক্সের ধারণা আগামী কয়েক সপ্তাহে সীমান্তে আরো মানুষের ঢল দেখা যেতে পারে। অবৈধ পারাপারের ঘটনাও ঘটতে শুরু করবে বলে তাদের অনুমান। রাশিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়ার পরেই হাজার হাজার রাশিয়ান ইউরোপে ঢুকতে শুরু করেছেন বলে তাদের দাবি।
আরো একটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে ফ্রনটেক্স। তাদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে বলার ঘোষণা দেয়ার পর রাশিয়া ছাড়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দেশ ছাড়ছেন।
সম্প্রতি একাধিকবার রাশিয়া সার্বিক যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। এর অর্থ, প্রয়োজনে তারা পরমাণু অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারে। পুতিন প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনোরকম ব্যবস্থা নিতে তৈরি। এর আগে পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য তৈরি আছে।
আমেরিকা-এর সমালোচনা করলেও এখনই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য তৈরি রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না। পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট্রিক রাইডার জানিয়েছেন, আমেরিকা সতর্ক আছে। রাশিয়ার সমস্ত পদক্ষেপের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখনই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য তৈরি রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না।
গণভোট নিয়ে ন্যাটোর বক্তব্য
এদিকে মঙ্গলবারই গণভোটের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে রাশিয়ার দখল করা পূর্ব ইউক্রেনের চারটি জায়গায়। চার দিন ধরে সেখানে গণভোট করেছে রাশিয়া। জাতিসঙ্ঘ আগেই বলেছিল, এই ভোট বন্দুকের নলের সামনে হচ্ছে। এবার তার তীব্র নিন্দা করলো ন্যাটো। ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, কোনোভাবেই এই গণভোট মেনে নেয়া হবে না। অবৈধভাবে এই ভোট করিয়েছে রাশিয়া।আমেরিকাও একই কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, ফলাফল যা-ই হোক, এই ভোট তাদের কাছে অবৈধ। এই ভোটের নিরিখে কাউকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রাশিয়া অবশ্য জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের মানুষ নিরাপদে নিরপেক্ষভাবে ভোট দিয়েছেন। মূলত দনেৎস্ক, লুহানস্ক, মারিউপল এবং ঝাপোরিজ্ঝিয়া অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন হয়েছিল।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা