দিল্লিকে জি-৭ প্রাইস ক্যাপ মানতে হবে অথবা পশ্চিমা বীমা ও শিপিং পরিষেবা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে
সোমবার , ১৪ নভেম্বর ২০২২ । ২৯ কার্তিক ১৪২৯ । ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৪
রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারতকে শর্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নয়াদিল্লির হয় জি-৭ প্রাইস ক্যাপ মেনে চলা উচিত, অথবা পশ্চিমা বীমা এবং শিপিং পরিষেবাগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এসব শর্ত মেনে ওয়াশিংটন ভারতকে তার ইচ্ছামতো রুশ তেল ক্রয় অব্যাহত রাখতে বলেছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন নয়াদিল্লিতে রয়টার্সকে বলেছেন, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামনের সাথে সাক্ষাৎ করে জেনেছি যে দরদাম করেই রুশ তেল সংগ্রহ করছে দিল্লি। এতে রাশিয়া কম দরে তেল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রুশ তেল সমুদ্রপথে আমদানি বন্ধ করে দিলে মস্কোকে নির্ধারিত মূল্য বা বাজারের হার থেকে উল্লেখযোগ্য ছাড় গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে বা ভারতের কাছে আরো কম দরে তেল বিক্রি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে এতে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে; যা ইউক্রেন যুদ্ধে তার পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হবে না।
ইয়েলেন বলেন, রাশিয়া তেল ক্রেতার সন্ধানে অনেক বেশি কাজ কেেরছ এবং এ ক্ষেত্রে দেশটির ক্রেতার ওপর নির্ভরশীল। এ প্রক্রিয়াটি ভারত ও অন্যান্য দেশ যারা রুশ তেল কিনছে এবং এর ফলে তেলের উপযুক্ত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মস্কো। ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণের জন্য মস্কোকে শাস্তি দেয়া এবং তার জ্বালানি রাজস্ব ব্যাপকভাবে হ্রাস করাই এ লক্ষ্যের উদ্দেশ্য। তবে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে দেশটি সীমাবদ্ধ মূল্যে তেল বা অন্যান্য পণ্য বিক্রি করবে না।
গত মাসে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন যে ৯০ শতাংশ রুশ তেল ক্রেতাদের কাছে হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হবে দেশটি। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক, ভারত এই বছর রুশ অশোধিত ক্রয় বাড়িয়েছে এবং অক্টোবরে মস্কো সৌদি আরব ও ইরাককে ছাড়িয়ে নয়াদিল্লির বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। নয়াদিল্লি মস্কোর সাথে স্থিতিশীল শক্তির সম্পর্ক খুঁজছে এবং ভারত তার সুবিধার জন্য রুশ তেল কেনা চালিয়ে যাবে বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার রুশ প্রতিপক্ষ সের্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠকের সময় বলেছেন।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে সবচেয়ে সুবিধাজনক শর্তে তেল আমদানির পর ভারতীয় ভোক্তাদের সর্বোত্তম চাহিদা নিশ্চিত করা আমাদের মৌলিক বাধ্যবাধকতা।’
সূত্র:রয়টার্স