শনিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২২, ২৪ আশ্বিন ১৪২৯
নজরদারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের যানবাহন।এ জন্য বসছে ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)।সেখানে এক্সপ্রেসওয়েতে নিরাপদ,নির্ভরযোগ্য,টেকসই ও উন্নত সড়ক পরিবহন অবকাঠামো ও অপারেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।এ কাজে ব্যয় করা হবে ১২২ কোটি টাকা।যার মধ্যে কোরিয়া দিবে ৮৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
দ্য ইম্প্রুভিং দ্য রিলাইঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড সেফটি অন ন্যাশনাল হাইওয়ে করিডর অব বাংলাদেশ বাই ইন্ট্রুডাকশন ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার কার্যতালিকায় বিষয়টি রাখা হয়েছে। সওজ সদর দপ্তরে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন এবং পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৪০ কিলোমিটার সড়কাংশে আইটিএস বাস্তবায়ন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ এবং গতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। যার ফলে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান যানবাহনকে নজরদারির আওতায় আনা এবং সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য আইটিএস জরুরি। এতেকরে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ, গতি, দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথা তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাঠানো হবে। ফলে সময় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী, যানজট ও দূষণমুক্ত এবং সর্বোপরি দুর্ঘটনামুক্ত একটি দক্ষ সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা পাওয়া যাবে।
এই বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার সড়কাংশ এর আওতায় আনা হচ্ছে। দেশে বিদ্যমান আইন, বিধিমালাগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি সড়ক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। তিনি জানান অবকাঠামো এবং সড়ক ব্যবস্থায় আইটিএস প্রযুক্তির সঙ্গে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে।