সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সঙ্ঘাত আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে থামতে পারে। এমন আশার খবর দিয়েছেন আরব লিগের মহাসচিব আহমদ আবুল গায়ছ। মঙ্গলবার আল-শার্ক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এ ছাড়াও দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান গায়ছ।
খবরে জানানো হয়, মূলত সুদানের সেনাপ্রধানের সাথে আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ প্রধানের দ্বন্দ্ব থেকেই এ সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে। তারা দুইজনই দেশটির ‘সার্বভৌমত্ব পরিষদের’ সদস্য। এর মধ্যে সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান ওই কমিটির প্রধান এবং আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো হচ্ছেন আল-বুরহানের ডেপুটি। মূলত কমিটির এই দুই মাথার মধ্যে বিবাদ থেকেই সুদানকে এ সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে।
এ নিয়ে আরব লিগের মহাসচিব বলেন, এ সঙ্ঘাতের কারণে সুদানের জনগণকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। এ সঙ্ঘাত অব্যাহত থাকলে শুধু সুদানই নয়, গোটা অঞ্চলটিই হুমকিতে পড়বে। গত ১৫ এপ্রিল প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে সঙ্ঘাত শুরু হয়। প্রথমে রাজধানী খার্তুমে যুদ্ধ শুরু হলেও এখন তা বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সঙ্ঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি
সুদানে লড়াইরত সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। প্রতিবেশী দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর সিএনএনের।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তি আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠাবে সুদানে লড়াইরত দু’পক্ষ। এই আলোচনা তাদের পছন্দ অনুসারে কোনো জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে। সুদানিজ সেনাবাহিনী বা আরএসএফ কেউই এ খবরের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে, গত সোমবার সুদানে নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ভলকার পার্থেস বলেছিলেন, উভয় পক্ষ একটি ‘স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য’ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। আলোচনার সম্ভাব্য ভেনু হতে পারে সৌদি আরব।
সূত্রঃতাস