অনলাইন ডেস্ক ৩০ জুলাই, ২০২২ ১২:২২

চীনা একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে পড়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রকেটটির ধ্বংসাবশেষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই সপ্তাহান্তে (শনি-রবি) পৃথিবীতে নেমে এসে বিধ্বস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  

যদিও ধ্বংসাবশেষগুলো কোনও জনবহুল এলাকায় পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম, তারপরও এ নিয়ে কিছু উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দেশের কীভাবে নিজেদের মহাকাশের আবর্জনার দায়িত্ব নেওয়া উচিত, সে বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে।চীনের মহাকাশ সংস্থার কাছে এর আগে নাসা আহ্বান জানিয়েছিল যাতে তারা রকেট এমনভাবে নকশা করে যে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় তা ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায় এবং এটাই আন্তর্জাতিক নিয়ম।

চীনের নির্মাণাধীন তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া সাম্প্রতিক রকেটগুলোতে পৃথিবীতে পড়ার সময় নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা নেই।

চীনের সর্বশেষ রকেট উৎক্ষেপণ ছিল গত রবিবার। একটি লং মার্চ ৫ রকেট একটি ল্যাবের অংশ নিয়ে তিয়ানগং স্টেশনে পৌঁছেছে। চীন সরকার বুধবার বলেছে, তাদের রকেটের পুনঃপ্রবেশ পৃথিবীর স্থলভাগে কারও জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে না বললেই চলে। কারণ এটি সম্ভবত সমুদ্রে পড়বে।

তবে রকেটের টুকরোগুলো জনবহুল এলাকায় নেমে আসার সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তাও নয়। ২০২০ সালের মে মাসে আইভরি কোস্টের এরকম ঘটনায় প্রাণহানি না হলেও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

চীনা রকেটের খালি অংশটি এখন পৃথিবীর চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে রয়েছে। এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে ক্রমেই একটি অনিয়ন্ত্রিত পুনঃপ্রবেশের পথে এগোচ্ছে।  

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা দ্য অ্যারোস্পেস করপোরেশনের মতে, রবিবার গ্রিনিচ মান সময় মধ্যরাতের পর (১৬ ঘণ্টা কমবেশি হতে পারে) এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকবে।

২৫ টন ওজনের ধ্বংসাবশেষটি ঠিক কোথায় পড়বে তা সঠিকভাবে বলা এত আগে সম্ভব নয়। অ্যারোস্পেস করপোরেশনের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, ধ্বংসাবশেষ পড়ার সম্ভাব্য অঞ্চল হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। সূত্র: বিবিসিব্লুমবার্গস্কাইনিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *