অনলাইন ডেস্ক ২১আগস্ট, ২০২২ (২০:৪১)

-ছবি সংগৃহীত

সম্প্রতিকালে বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) পেছনে ফেলে ওয়েবমেট্রিক্সের র‍্যাংকিংয়ে দেশসেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। আর বুয়েটের অবস্থান তৃতীয়।

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবোমেট্রিক্সের বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং ২০২২ এর দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) এ তথ্য উঠে এসেছে।স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত স্প্যানিশ ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের (সিএসআইসি) একটি গবেষণা দল ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র‍্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশের ৩১ হাজারের বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনায় নিয়ে তারা এই র‍্যাংকিং প্রকাশ করে।

ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান ১ হাজার ৪৬৮। দ্বিতীয় থাকা শাবিপ্রবির অবস্থান ১ হাজার ৪৭৬ এবং বুয়েটের অবস্থান ১৪৮৩। এর আগে ২০২২ সালের প্রথম সংস্করণে এ তালিকায় শীর্ষে ছিল বুয়েট।

তালিকায় দেশসেরা শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্য ৭টি হলো যথাক্রমে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‍্যাংকিং ১৫৯৩), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‍্যাংকিং ১৭৫০), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‍্যাংকিং ২১৪৬), ব্রাক ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র‍্যাংকিং ২২১৮ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‍্যাংকিং ২৩১৯), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‍্যাংকিং ২৪৮১) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (র‍্যাংকিং ২৪৮১)।

এছাড়া শীর্ষ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের স্থান হয়েছে। মেডিকেলগুলো হলো- ৫১তম স্থানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ৭৬তম স্থানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ৮২ ও ৮৩তম স্থানে যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, ৮৫তম বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এবং ৯৫তম অবস্থানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে ওয়েবোমেট্রিক্স।প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক এবং তাদের প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এটি তৈরি করে ওয়েবমেট্রিক্স। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ৫০ শতাংশ, টপ সাইটেড গবেষকদের ১০ শতাংশ এবং টপ সাইটেড প্রবন্ধ ৪০ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে র‍্যাংকিং প্রকাশ করে এ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *