০২ অক্টোবর ২০২২ ১৯ঃ৩৪

সন্তান নিয়ে প্রত্যেক বাবা-মায়ের কিছু আশাসহ সুন্দর স্বপ্ন থাকে। সন্তান সুন্দরভাবে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে বেড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা থাকে। আর এ প্রত্যাশা থেকেই মা-বাবা সন্তানের ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে সব সময় প্রধান ভূমিকা রাখে।কিন্তু অনেক সময় সন্তানের ভেতর এমন কিছু অভ্যাস গড়ে ওঠে, যেগুলো তার ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই লক্ষ্য রাখুন আপনার সন্তান ‘না’ শুনলে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়। যদি সহজে মেনে নেয় তবে চিন্তামুক্ত থাকুন। কারণ, আপনার বলা ‘না’-কে সন্তানরা সহজে মেনে নেয়,যেটা হচ্ছে তার বাস্তবতা গ্রহণ করার প্রবণতা অনেক বেশি।

তবে শিশু যদি তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনো কিছু মানতে নারাজ,তাহলে বিষয়টা চিন্তার। বুঝবেন তাকে নিয়ে আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার সময় হয়েছে। শিশুরা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনোকিছু সহ্য করতে না পারা মানে, সে বাস্তবতা মেনে নিতে শেখেনি। এ জন্য কিন্তু বাবা-মাকেই দায়ী করা হয়। তারা অনেক সময় নিজের অজান্তেই সন্তানের মধ্যে এ অভ্যাসটি তৈরি করতে সাহায্য করেন। সন্তান কিছু চাইলে অনেক বাবা-মা তা সঙ্গে সঙ্গেই এনে দেয়,আর এর জন্যই সন্তান পরবর্তীতে না শুনতে চায় না।

উপহার : মানুষ যখন উপহার দেয়, তখন সেই উপহারদাতার অনেক ভালোবাসা জড়িত থাকে তাতে। কারও দেওয়া উপহারে কখনও অপছন্দের মতামত দেওয়া উচিত নয়। উপহার সব সময় হাসিমুখে গ্রহণ করতে হয়। আপনার সন্তানকে এ বিষয়টি সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন, যাতে সে সহজেই বিষয়টি বুঝতে পারে। যদি সে তা বুঝতে না চায়, তাহলে সেটি আপনার জন্য সতর্ক সংকেত।

নিয়ম মেনে চলা : সকলের ঘরেই কিছু না কিছু নিয়ম থাকে, সন্তানকে নিয়ম মেনে কাজ করতে শেখালে সে অনুযায়ী কাজ করতে শিখবে। শিশুর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পড়া, ঘুম থেকে ওঠা, খেলার সময়ে খেলা করা, টিভি দেখার জন্য বরাদ্দ সময়ে টিভি দেখা, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া জরুরি বিষয়। সন্তানকে ধৈর্য নিয়ে এগুলো বোঝাবেন। খেয়াল রাখবেন আপনার সন্তান টিভি দেখার সময় রিমোট নিয়ে গেলে খেপে যায় কি না, যদি রেগে যায়, তবে সেটি আপনার জন্য ভবিষ্যতের সতর্ক সংকেত।

শিষ্টাচার : আপনার সন্তানকে ভদ্রতা সেখান, ভদ্রতা সকল শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়। শিশু যাতে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং যেকোনো প্রাপ্তিতে তাকে ধন্যবাদ দিতে শেখান। যদি সে কোনো কিছু পেয়েও খুশি না হয় এবং প্রাপ্তি স্বীকার না করে, তাহলে সেটা আপনার জন্য সতর্ক বার্তা।

রেগে যাওয়া : শিশু তার অপছন্দ প্রকাশ করার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রেগে যায়। শিশুর এ রেগে যাওয়ার বিষয়টা তার ভবিষ্যতের জন্য মোটেও ভালো না। বিষয়টি থেকে বাবা-মায়ের সতর্ক ও সাবধান হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *