অনলাইন ডেস্ক ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৩৭

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখনো অন্যতম সমস্যা মূল্যস্ফীতি। শুরু থেকেই মূল্যস্ফীতির ওপর নজর রাখছে হোয়াইট হাউজ। কারণ এটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জনপ্রিয়তার ওপর প্রভাব ফেলে। তবে মূল্যস্ফীতির ভীতি এখন কিছুটা কমেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে চলতি বছরের আগস্টে ভোক্তা মূল্যসূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট দশমিক তিন শতাংশে। দ্য ইকোনমিস্ট।
তবে মাসিক ভিত্তিতে এ সময়ে মূল্য বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক এক শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির রিপাবলিকান নীতিনির্ধারকরা বাইডেনের সময়ের রেকর্ড মূল্যস্ফীতির সমালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমার পরই দেশটিতে মূল্যস্ফীতির ভয়হীন পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। চলতি বছরের জুনে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। যদিও তা কমে ব্যারেল-প্রতি ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
তবে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাদ দিলে মাসিক ভিত্তিতে আগস্টে মূল মূল্যস্ফীতি পাওয়া যায় শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ। এই হারে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় সাত দশমিক চার শতাংশে, যা ফেডারেল রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা দুই শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। এ দিকে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, এই মাসের শেষের দিকে ফেড তার টানা তৃতীয় তিন-চতুর্থাংশ-পয়েন্ট সুদের হার বৃদ্ধির জন্য বেছে নেবে।
অনুমানকারীরা ভেবেছিলেন মাসিক ভিত্তিতে আগস্টে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক তিন শতাংশে আসবে। কিন্তু শূন্য দশমিক ছয় শতাংশের ফলে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যাশার চেয়ে মূল্যের ওপর চাপ অনেক বেশি। এ কারণেই ফের সুদের হার বাড়ানোর দিকে নজর ফেডের। মূল মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শ্রমবাজারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বেকার ব্যক্তির জন্য মোটামুটি দু’টি পদ খালি রয়েছে। এতে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। ফেডের আটলান্টা শাখার তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে মজুরি বার্ষিক ভিত্তিতে বেড়েছে প্রায় সাত শতাংশ।
ফেডের রেট সেটিং কমিটির সদস্যদের প্রত্যাশা বেকারত্বের হার ২০২৪ সালে চার দশমিক এক শতাংশে থাকতে পারে, বর্তমানে যা রয়েছে তিন দশমিক সাত শতাংশে। কিন্তু জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির লরেন্স বল ও আইএমএফের ড্যানিয়েল লেই-প্রাচি মিশ্রের সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মূল মূল্যস্ফীতি দুই দশমিক সাত শতাংশ থেকে আট দশমিক আট শতাংশের মধ্যেই বেকারত্বের হার চার দশমিক এক শতাংশে থাকবে।
মূল্যস্ফীতি ইস্যুতে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষ করে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ যেকোনো মূল্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে পেট্রলের দাম আমেরিকানদের বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে জুন থেকে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *