মঙ্গলবার । ২৯ নভেম্বর ২০২২ । ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৪
বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সোমবার বিস্ফোরিত হয়ে লাভা উদগীরণ শুরু করেছে। মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে উত্তপ্ত লাভা ও ছাই উদগীরণ প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ছড়িয়ে পড়ছে।
আগ্নেয়গিরির চূঁড়ায় গলিত পাথরের নদীগুলোর প্রবাহ দেখা যায়, বিগ আইল্যান্ডের উপরে বাষ্পের বিশাল মেঘ এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে বলেছে, মাউনা লোয়াতে বছরের পর বছর ধরে চাপ তৈরি হচ্ছে, এটি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে। হাওয়াইয়ের প্রধান দ্বীপের পশ্চিম উপকূলের কোনা শহর থেকে ৪৫ মাইল (৭২ কিলোমিটার) দূরের এই অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়।
রোববার মধ্যরাতের কিছু আগে শুরু হওয়া অগ্নুৎপাতটি প্রাথমিকভাবে ক্যালডেরার (অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আগ্নেয়গিরির শীর্ষে ধসে পড়া অবতল এলাকা) মধ্যে ছিল, তবে ভলকানোলজিস্টরা বলেছেন, সোমবার থেকে লাভা পাশের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসছে।
ইউএসজিএস তার ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘মাউনা লোয়ার অগ্ন্যুৎপাত শিখর থেকে উত্তর-পূর্ব রিফ্ট জোনে স্থানান্তরিত হয়েছে যেখানে ফাটল বেশ কয়েকটি লাভা প্রবাহ তৈরি করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে, বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত অঞ্চলের নিচে বসবাসকারী লোকদের জন্য কোনো হুমকি নেই, তবে সতর্ক করে দিয়েছে যে আগ্নেয়গিরিটি অস্থির অবস্থায় রয়েছে।
‘অতীতের ঘটনাগুলোর উপর ভিত্তি করে ধারণা করা হয়, মাউনা লোয়া রিফ্ট জোন বিস্ফোরণের প্রাথমিক পর্যায়গুলো খুব গতিশীল হতে পারে এবং লাভা প্রবাহের অবস্থান এবং অগ্রগতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।’
বিশেষজ্ঞরা আরো সতর্ক করেছেন, বাতাস আগ্নেয়গিরির গ্যাস এবং সূক্ষ্ম ছাই নিচের ঢালে প্রবাহিত করতে পারে, সেইসাথে পেলের চুল (লাভা দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে গঠিত চুলের মতো ধারালো তন্তু) থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
হাওয়াইয়ানদের আগ্নেয়গিরির দেবী পেলের নামানুসারে এই তন্তুগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। এগুলো খুব ধারালো হতে পারে এবং ত্বক এবং চোখের জন্য সম্ভাব্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সূত্র : বাসস