অনলাইন ডেস্ক ।০২ আগস্ট ২০২২, ১১:০৪ এএম

-ছবি সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে গত সাত বছর ধরে চলছে গৃহযুদ্ধ। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশটির সরকারের মধ্যে এ যুদ্ধ চলছে। 

যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে চার মাস আগে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে চার মাসের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ২ অক্টোবর এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। 

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন ঘনিয়ে আসায় বর্তমানে অজানা আতঙ্কে দিনপাত করছেন ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে কাজ করছে ভয়, আতঙ্ক এবং বিভ্রান্তি। 

রাজধানী সানার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী সালেহ আহমেদ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হবে। 

তিনি বলেন, লড়াই শুরু হবে। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। ফুয়েলের দাম বেড়ে যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে। বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর পাহাড় তৈরি হবে। এসব সমস্যা জীবন তীক্ত ও অসহনীয় করে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় করা এ যুদ্ধবিরতিটি দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে লম্বা সময়ের যুদ্ধবিরতি। 

এখন ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত হ্যানস গ্রুন্ডবার্গ, যুক্তরাষ্ট্রের দূত টিম লেন্ডারকিং ফের যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। 

আহমেদ নামে একজন মিনিবাস চালক যুদ্ধবিররিত বিষয়ে বলেন, এটির আগে আমার গাড়িতে পেট্রোল নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্যাস স্টেশনে অপেক্ষা করতে হত। এখন আমি যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় পেট্রোল নিতে পারি। আমি কাজ করতে পারি এবং পরিবারের জন্য  অর্থ আয় করতে পারি। এ যুদ্ধবিরতির কারণে আমার জীবনে স্বস্তি এসেছিল।

এদিকে এ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পায়। কিন্তু হুথি বিদ্রোহী এবং সরকারের মধ্যে কোনো সমাধান আসেনি। তাছাড়া যুদ্ধবিরতির মধ্যেও তারা এটি লঙ্ঘন করেছে। ফলে এখন সময় শেষ হয়ে গেলে আবার দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হতে পারে। 

সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *