অনলাইন ডেস্ক ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:২৯

তুরস্কের প্রতি গ্রিসের সম্ভাব্য হুমকির প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান মঙ্গলবার তার সতর্কতা দ্বিগুণ করে বলেছেন,তুরস্কের বাহিনী ‘হঠাৎ কোনো এক রাতে’ চলে আসতে পারে তার মানে হচ্ছে তার প্রতিবেশীর ওপর তুরস্কের আক্রমণকে নিছক উড়িয়ে দেয়া যায় না। ন্যাটো মিত্রের বিরুদ্ধে তুরস্কের সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, এরদোগান এভাবেই তার অভিব্যক্তিটি আবারো পুনর্ব্যক্ত করেন। ভয়েস অব আমেরিকা।
বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলছি, তা স্বপ্ন নয়। যেমনটা আমি বলেছিলাম যে, আমরা হঠাৎ করে যেকোনো এক রাতে আসতে পারি (এর মানে) সময় হলে, সত্যিই হঠাৎ যেকোনো আক্রমণ শুরু হয়ে যেতে পারে।’
তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে এজিয়ান সাগরের আঞ্চলিক দাবি এবং সেখানকার আকাশসীমা নিয়ে মতবিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গত কয়েক দশকের পুরনো বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে গত অর্ধশতাব্দীতে অন্তত তিনবার যুদ্ধের প্রায় দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল দেশ দু’টি। আঙ্কারা বলেছে, গ্রিস তুরস্কের এজিয়ান উপকূলরেখার কাছাকাছি দ্বীপগুলোকে সামরিকীকরণ করে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। তারা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ন্যাটোর মহড়া চলাকালীন গ্রিক বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধবিমান আটকানোর অভিযোগও করেছে। তবে এথেন্স তুরস্কের বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ করেছে। বসনিয়ার প্রেসিডেন্টের তিনজন প্রতিনিধির পাশাপাশি বসে এরদোগান আরো বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অবৈধ হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং যদি এই অবৈধ হুমকিগুলো চলতে থাকে, তবে তাদের মনে রাখা উচিত, আমাদেরও ধৈর্যের একটা সীমা আছে। যখন সময় হবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ আমাদের বিমানগুলোকে তাদের রাডারে সংযুক্ত করে রাখা মোটেও ভালো কোনো লক্ষণ নয়। গ্রিসের নেয়া এমন পদক্ষেপও ভালো লক্ষণ নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *