অনলাইন ডেস্ক ২৯ জুলাই, ২০২২ ২২:২১
আল্লাহর দুটি গুণবাচক নাম ‘মুহয়ি’ (জীবন দানকারী) ও ‘মুতিত’ (মৃত্যু দানকারী)। কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা আল্লাহর এই গুণ প্রমাণিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করো? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদের জীবন্ত করেছেন। আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও পুনরায় জীবন্ত করবেন।
পরিণামে তাঁর দিকেই তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন। অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। এরপর (আবারও) তোমাদের জীবন্ত করবেন। ’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৬৬)
মহান আল্লাহই জীবন ও মৃত্যুর স্রষ্টা ও মালিক, তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে উত্তম জীবন ও মর্যাদাকর মৃত্যু কামনা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ দুঃখ-কষ্টে পতিত হওয়ার কারণে যেন মৃত্যু কামনা না করে। যদি কিছু করতেই চায়, তা হলে সে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখো যত দিন আমার জন্য বেঁচে থাকা কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দাও, যখন আমার জন্য মরে যাওয়া কল্যাণকর হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৭১)আল্লামা জাজ্জাজ (রহ.) বলেন, “আল্লাহই একমাত্র জীবনদাতা। কেননা তিনিই তাদের ভেতর জীবন সৃষ্টি করেছেন, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ ও শুষ্ক ভূমিতে উদ্ভিদ উৎপন্ন করে তা প্রাণের বিকাশ ঘটিয়েছেন। এ জন্যই তিনি বলেছেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। ” (সুরা : মুলক, আয়াত : ২; তাফসিরু আসমায়িল হুসনা, পৃষ্ঠা ৫৬)
আল্লামা খাত্তাবি বলেন, ‘আল্লাহ জীবনদাতা। কেননা তিনি জীবনহীন শুক্রাণুতে জীবন সঞ্চার করেন এবং তাতে তরতাজা প্রাণের বিকাশ ঘটান। আবার কিয়ামতের দিন অস্তিত্বহীন হয়ে যাওয়া দেহগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে দেবেন। তিনি মৃত অন্তরকে জীবিত করে তাঁর মারেফাতের নূর দ্বারা। তিনি মৃত ভূমিতে বৃষ্টিপাত করে তা থেকে শস্য উৎপাদন করে তা জীবিত করেন। তিনি মৃত্যু দানকারী। কেননা তিনি জীবের প্রাণ কেড়ে নেন এবং শক্তিশালী ও অহংকারীকে মৃত্যু দ্বারা লাঞ্ছিত করেন। ’ (শানুদ দোয়া, পৃষ্ঠা ৭৯)