![](https://amaderbishsho.com/wp-content/uploads/2022/11/Screenshot_1.jpg)
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের জন্য ওষুধের খুচরা বিক্রি একটা বড় সমস্যা। এই অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিকের ফুল ডোজ এক সঙ্গে বিক্রির নিয়ম করা উচিৎ। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে আইন প্রয়োজন, সঙ্গে আইন প্রয়োগকারীও প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি। জ্বর হলেই সাধারণ ওষুধের সঙ্গে ২-৩টা এন্টিবায়োটিক ক্রয় করছেন সাধারণ মানুষ। এটি সাধারণ মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের অন্যতম বড় কারণ।
রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যা প্রতিরোধ গড়ি সবাই মিলে’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করি মন্তব্য করে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, অথচ আমাদের অপারেশন থিয়েটার কিংবা বেড থেকে সংক্রমণ হয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা থিয়েটারের নিয়ম-কানুন আমরা মানছি না। আমাদের ওয়ার্ড বয়, সিস্টার, লোকজন, রোগী এমনকি চিকিৎসকরাও মানছেন না। লোকজন সরাসরি ঢুকে যাচ্ছে গাউন পরছে না, তারা বাইরের কাপড় নিয়ে ঢোকে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এমনকি অপারেশনের যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না করে বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। রোগীদের গ্যাস নেওয়ার পাইপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা একই জিনিস থেকে ব্যবহার করছে কয়েকজন। এতে একজনের মুখের জীবাণু ছড়াচ্ছে আরেকজনের মধ্যে। এ জীবাণুও যাতে না থাকে সেটার জন্য ও ব্যবস্থা নিতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যাপক খুরশীদ বলেন, হাসপাতালের বেড থেকে, অপারেশন থিয়েটার থেকে, সেখান কার টয়লেট থেকে এবং প্রয়োজনীয় জায়গা থেকে স্যাম্পল নিয়ে আমাদের বের করা উচিৎ কোন ধরনের বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তখন আমরা বুঝতে পারব এই হাসপাতালে রোগী আসলে আমরা প্রথমে কোন অ্যান্টিবায়োটিকটা দেব। এটি সব হাসপাতালের জন্য এক ধরনের হবে না। এটি হবে এক হাসপাতালের জন্য এক ধরনের পলিসি বলে জানান তিনি।