দেশে চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে ১৩৪ কোটি ৭১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬০ কোটি ডলার। নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স আনা সম্ভব হচ্ছে না।
রোববার (২৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বরের ২৫ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার এসেছে। এরপর অগ্রণী ব্যাংকে ৯ কোটি ৬ লাখ, ডাচ্বাংলা ব্যাংকে ৮ কোটি ৫৫ লাখ, সোনালী ব্যাংক ৮ কোটি ১৪ লাখ এবং আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয় বাড়াতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া, বিভিন্ন শর্ত শিথিল, চার্জ ফি মওকুফসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার পরও রেমিট্যান্সে গতি ফেরেনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা ছিল টানা ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যা আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম।