১৭ অক্টোবর ২০২২, ১ কার্তিক ১৪২৮, ২০ রবিউল আওয়াল ১৪৪৪ হিজরি
আগামী বছরের (২০২৩ সাল) ২৫ অক্টোবর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেনের। কিন্তু চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবসর প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন জানিয়েছেন, এ রকম অবস্থার জন্য কখনও প্রস্তুত ছিলাম না। আমি আমার জীবনে নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে কখনও আপস করিনি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মো. মকবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে ওঠা সরকারবিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে বিদায়ী তথ্যসচিব বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাঁচব। তারেক রহমানকে আমি সরাসরি কখনও দেখিনি। কোনো বিষয় যদি আপনাদের নলেজে আসে, তাহলে পত্রিকায় প্রকাশ করবেন এবং খুঁজে বের করে প্রশ্ন করবেন।
সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, সবাই ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন।
এর আগে রোববার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে অবসর দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মো. মকবুল হোসেনের। তার এক বছর আগেই তাকে অবসর দেওয়া হলো।
গতকাল রোববার মো: মকবুল হোসেনকে অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেনকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।’
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিবকে অবসরে পাঠানো হলো জানতে চাইলে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এটা জেনেছি, কিন্তু কেন অবসর দেয়া হলো, সেই বিষয়ে আমি অবহিত নই।
অন্য দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, কারো চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর হলে সরকার যে কাউকে অবসরে পাঠাতে পারে। আর তার চাকরির মেয়াদ কয়েক মাস ছিল।
মকবুল হোসেন গত বছরের ৩১ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের দশম ব্যাচের কর্মকর্তা। মকবুল হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।