দেশের প্রধান দুই নদী পদ্মা ও মেঘনার নামে আপাতত কোনো বিভাগ হচ্ছে না। প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

রোববার নিকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নতুন বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে নতুন নতুন অনেক দফতর লাগবে। এজন্য কোটি-কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। নিকার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়নি।

বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা- ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এছাড়া কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর- এই ছয়টি জেলা মিলে মেঘনা বিভাগ গঠনের প্রস্তাবানা করা হয়।

নতুন বিভাগ গঠন বা স্থাপনের প্রস্তাব সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে অনুমোদন হতে হয়। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ১১ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছাড়াও আছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১ জন সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ প্রশাসনিক বিভাগ ছাড়াও এবারের সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর করে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণ এবং ‘ঝাউনিয়া পুলিশ ক্যাম্প’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্প’ হিসেবে নাম করার প্রস্তাব।

এ ছাড়া সভায় উঠছে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় পৌরসভা গঠন, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ও বোয়াইল ইউনিয়নের বিরোধপূর্ণ অংশ বিয়োজন করে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার সাথে সংযুক্ত করে মাদারগঞ্জ উপজেলার সীমানা পুনর্গঠন এবং ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের প্রস্তাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *