বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৬

ছবি সংগৃহীত

সুন্দর ত্বক স্বাস্থ্যকর ত্বক কেনা চায়। আর ত্বক ভালো রাখতে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। তবে নানা কারণে সেই ত্বক হয়ে উঠতে পারে মলিন। ভেঙে পড়তে পারে ত্বকের স্বাস্থ্য। আপনি যতই ত্বকে ঘষামাজা করেন না কেন, ত্বকের শত্রুদের যদি চিনে না নেন তবে সে চেষ্টা বৃথা।জাপানি একটা প্রবাদ আছে, ‘আপনি যা খান, আপনি তা-ই’। অর্থাৎ, আপনি যত সতেজ খাবার খাবেন, আপনি ততই সতেজ থাকবেন। কেননা, প্রাণীজ খাবার, ভাজাপোড়া ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি সিগারেটের প্যাকেটেও লেখা থাকে, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’। ধূমপান, মদ্যপান ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। ধূমপান ও মদ্যপানে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ক্রমশ ত্বকের টান টান ভাব কমতে থাকে। আর কম বয়সেই পড়ে যায় বলিরেখা। স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা ত্বকের আরেকটি শত্রু। আপনি যদি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন, আপনার ত্বকে সেটা ধরা পড়বে। আর নিয়মিত যদি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন, তাহলে সেটা ত্বকে স্থায়ীভাবে প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া বায়ুদূষণও ত্বকের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বাতাসে থাকা নানান ধূলিকণা ও জীবাণু ত্বকের গভীরে পৌঁছে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। তাই ময়লা লোমকূপে জমে গিয়ে ত্বক মলিন করে তোলে। এর ফলে ব্রণের সমস্যাও হতে পারে। শীতকালে মূলত দূষণের ফলেই ত্বক ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে ত্বকে নানা প্রভাব দেখা দেবে। যা একদম আয়নার মতো পরিষ্কার। তাই প্রতিদিন চার লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। চিনি ত্বকের আরেক শত্রু। চিনি আর তেল যত কম খাবেন, ত্বক ততই ভালো থাকবে। সূর্যের আলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তবে অতিরিক্ত সূর্যের আলো, বিশেষ করে দুপুরের কড়া রোদ ত্বকের ওপর পড়লে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি আলট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্যান্সারও হতে পারে। দিনে আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। সেটা কম হলে সর্বনিম্ন ছয় ঘণ্টা হতে পারে।

তথ্যসূত্র : ইউএস লাইফস্টাইল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *