অনলাইন ডেস্ক ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১ঃ৩৬
ঢাকায় পানির দাম কোথায় কীভাবে বাড়বে জানালেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন ঢাকা শহরে পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা জোনভিত্তিক পানির দাম আলাদা করে বাড়ানো হবে। গুলশান-বনানীর অভিজাত এলাকায় পানির দাম বেশি থাকবে।
তবে নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকায় পানির দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকবে বলেও জানান তিনি।খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। তাই দেশের মানুষ কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। তবে ইউরোপের মানুষের চেয়ে বাংলাদেশ ততটা খারাপ অবস্থায় যায়নি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,ঢাকায় পানির দাম কোথায় কীভাবে জোনভিত্তিক পানির দাম আলাদা করে বাড়ানো হবে। গুলশান-বনানীর অভিজাত এলাকায় পানির দাম বেশি থাকবে। নিম্নআয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকায় পানির দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। তবে ঢাকা শহরে পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না। ‘ শুধু পানি নয় হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটিক্যাল সার্ভিসের মূল্য জোনভিত্তিক নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় মানুষ ভালো আছে। এ কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। জ্বালানির দাম বাড়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে, যে কারণে মানুষ অসুবিধায়ই আছে। সরকার এটা অস্বীকার করছে না। বরং মানুষকে ভালো রাখার জন্য যা যা করা দরকার সরকার তার সবই করছে।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপসহ পৃথিবীর অনেক দেশ বর্তমানে খারাপ অবস্থায় আছে। এটা না বলে সরকারের ব্যর্থতার কারণে শুধু যদি বাংলাদেশের মানুষ খারাপ আছে এটা বলা কতটা যৌক্তিক। এটা বলে কী মানুষের ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে না।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক পরিশ্রমের ফলে ড্যাপ গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এখন বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ঢাকাকে বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অনেক দেশের তুলনায় আমরা সফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে।
সিটি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আদিলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।