অনলাইন ডেস্ক

  • ১৯ জুন ২০২২,২৩:৪৫

মৌলভীবাজারের রাজনগরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার উত্তরভাগ, ফতেহপুর, কামারচাক, টেঙরা ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। উপজেলার প্রধান নদী মনু ও কুশিয়ারার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে আছেন নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার।সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মনু ও কুশিয়ারা নদীর উজানে ভারতের আসাম, ধর্মনগর, কৈলাশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের রাজনগরে মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে।

মৌলভীবাজার আবহওয়া অফিস জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৩.২ মি:মি: বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

পাঁচ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এলাকায় দূর্যোগ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন শুক্রবার বিভাগীয় আট কর্মকর্তার সমন্বয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্টোল রুম স্থাপন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত দুর্গত দু’শ’টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্গত মানুষদের আরো ত্রাণ সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বাবলু সূত্রধর জানান, দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং দুর্গত মানুষের সাথে কথা বলেছি। এ পর্যন্ত দু’শ’টি পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দূর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত তাদের যথাযথ সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও দুর্গতদের স্বার্থে যা করার সব ব্যবস্থা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *