অনলাইন ডেস্ক সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২, ৩১ শ্রাবণ ১৪২৯

ব্যবসায়ীদের মতে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্যার কারণে এ বছর হাওরে ধান উৎপাদন কম হয়েছে। অপরদিকে সরকার দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে চাল আমদানির অনুমতিও দিয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে তাও সহজ হচ্ছে না। চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা।চালের দাম অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।

রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও হাস্কি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা চাল স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এসব চাল ৫ থেকে ৬ টাকা কম দামে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৮ থেকে ৬৬ টাকায়। নাজিরশাইল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৪ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬৫ থেকে ৮০ টাকায়। আটাশ চাল প্রতি কেজি এখন ৫৩ থেকে ৫৯ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা। পাইজাম ৫০ থেকে বেড়ে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাস্কি চাল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৩ হয়েছে। মোটা স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে মিল মালিকদের বিকল্প উপায়ে ধান থেকে চাল করতে হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সামনে চালের দাম আরও বাড়তে পারে। এদিকে আমদানি কম হচ্ছে। যেটুকু বাজারে এসেছে, সেটাও দেশি চালের দামের প্রায় সমান। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের কারণে যে শুধু ভাড়া বেড়েছে তা নয়, চাল প্রক্রিয়াকরণের খরচও বেড়েছে। সে জন্য মিলগেটে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সামনে দাম আরও বাড়বে। তবে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকরা কারসাজি করার ফলে চালের দামটা বেড়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে পরিবহন খরচ। এসব কারণেই মূলত চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *