অনলাইন ডেস্ক ১০ নভেম্বর ২০২২, ২৬ কার্তিক ১৪২৯, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি

দেশে এই মুহূর্তে রিজার্ভের পরিমাণ কত, সে বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দেওয়া বক্তব্যের পর রিজার্ভ বিষয়ে এ বিভ্রান্তি দেখা দেয়।সংবাদ সম্মেলনে রিজার্ভ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে যা থাকে, সেটিই হচ্ছে নেট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ।

গভর্নরের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে রিজার্ভের পরিমাণ দেখানো হচ্ছে ৩৪ বিলিয়নের বেশি।

এদিন আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, বুধবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ডলার। তবে এ রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি বা ৮ বিলিয়ন (১ বিলিয়নে ১০০ কোটি) ডলার বিভিন্ন খাতে খরচ করা হয়েছে।

রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ। আবার রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠন করা হয়েছে লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ), গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)। বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতেও রিজার্ভ থেকে সোনালী ব্যাংককে অর্থ দেওয়া হয়েছে। আবার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতেও রিজার্ভ থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে সব মিলিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। ফলে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *