আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি, আশা করছি ভাল আছেন সুস্থ আছেন৷ বরাবরের মতই আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। শিরোনাম দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আজকে আপনাকে দেখানোর চেষ্টা করব কিভাবে ক্রিপটোকারেন্সি মাইন করতে হয় এবং এই মুহূর্তে কোন কারেন্সি মাইনিং আপনার জন্য লাভজনক হবে।
ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং এবং বর্তমান অবস্থা
একটা সময় সখের বসে পিসিতে শুধুমাত্র এলগোরিদম রান করে আর্নিং করার অইডিয়াটা আসলেই চমৎকার ছিল। গেমিং পিসি ইউজাররা তাদের পিসিতে বিটকয়েন মাইন করে অর্থ উপার্জন করতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে ক্রিপটোকারেন্সিতে এত এত লেনদেন হওয়াতে এবং ইউজার সংখ্যা আগের তুলনায় কয়েক গুণ বাড়াতে বিষয়টি এতটা সহজ নেই বিষয়টি এখন বেশ জটিল।
ক্রিপটোকারেন্সিতে হওয়া প্রতিটি লেনদেন সার্ভারে রেকর্ড হওয়া এবং ব্লক চেইনে নতুন কয়েন যুক্ত হতে যে জটিল এলগোরিদম সলভ করতে হয়, তা এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে। ইউজার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই প্রক্রিয়া এতটা কমপ্লেক্স হয়েছে যে এখন পিসি দিয়ে মাইনিং করা লাভজনক নয়। আর তাই বর্তমানে মাইনিং ব্যক্তিগত পর্যায়ে না থেকে ব্যবসায়িক ভাবে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন ফার্ম তৈরি হয়েছে যারা বাণিজ্যিক ভাব ডেডিকেটেড মাইনিং মেশিনের মাধ্যমে ক্রিপটোকারেন্সি মাইন করে।
তার মানে কি এখন আর সখের বসে বিটকয়েন মাইন করা হবে না? চলুন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজা যাক, দেখা যাক কম্পিউটার দিয়ে মাইন করা যায় এমন কোন বিটকয়েন আছে কিনা। মুল বিষয়ে যাবার আগে মাইনিং নিয়ে ব্যাসিক কিছু বিষয় জানা যাক।
লক্ষ করুন: বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের বিটকয়েন লেনদেন এবং মাইনিং সম্পূর্ণ বেআইনি। এই টিউন কোন ভাবেই আপনাকে মাইনিং এ উদ্বুদ্ধ করে না। ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে ভাল ধারণা পাবার জন্যই এই টিউনটি করা। যে সকল দেশে বিটকয়েন বৈধ, সেসব ইউজাররা এই টিউনটি ফলো করতে পারেন।
ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং কি?
রিপটোকারেন্সি গতানুগতিক ব্যাংক ব্যবস্থার মত কাজ করে না। ব্যাংক ব্যবস্থায় যেখানে ফিজিক্যালি লেনদেন হয়, বিটকয়েনে সেটা হয় পুরোপুরি অনলাইনে। ব্যাংকে যেমন বিভিন্ন পক্ষ লেনদেন গুলো সম্পন্ন করে বিটকয়েনে তেমন কোন পক্ষ থাকে না। তাহলে লেনদেন গুলো কিভাবে আপডেট হয়? সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিটকয়েনে প্রতিটি লেনদেন আপডেট হওয়ার এই প্রক্রিয়াটিই হচ্ছে মাইনিং।
মাইনিং করা হয় মূলত ব্লক চেইনের ডেটা রেকর্ডের আপডেটের জন্য। বিট-কয়েন তৈরি করার পর এর জনক Satoshi Nakamoto প্রথমেই একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হন, বিট-কয়েনে লেনদেন হলে সেগুলো আপডেট কে করবে এবং কিভাবে প্রক্রিয়াটি চলতে থাকবে। Satoshi Nakamoto এই কাজের দায়িত্ব দেন মাইনারদের। মাইনারদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি লেনদেনের দিকে নজর রাখা, সেগুলো ভেরিফাই করা এবং প্রতিটি লেনদেনের আপডেট প্রদান করা।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারে এত এত লেনদেন কোন ব্যক্তি কিভাবে ভেরিফাই করবে? বিষয়টি হল, কোন ব্যক্তিকে এই কাজটি করতে হবে না কম্পিউটারে পাওয়ার দেয়া থাকলে সেটিই সকল কাজ করবে। আর এই প্রক্রিয়াটিই হল বিট-কয়েন মাইনিং।
আপনি যখন কাউকে বিট-কয়েন পাঠাবেন তখন সেখানে অনেক জটিল গাণিতিক সমস্যা তৈরি হবে। এই সমস্যা সলভ হলেই কেবল লেনদেনটি হবে। আর এই গাণিতিক সমস্যা সমাধানের কাজ করবে মাইনারদের কম্পিউটার। কম্পিউটারকে মাইনিং এ যুক্ত করে দিলে সেটা এই সমস্যার সমাধান করে সার্ভারে পাঠাবে।
গাণিতিক যুক্তি গুলো ম্যাচ হওয়া মানে প্রতিটি ইউজারের কাছ থেকে লেনদেনের অনুমোদন পাওয়া। বিষয়টি যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ নয়। গাণিতিক যুক্তি গুলো সলভ করার কাজ করে কম্পিউটারের GPU অথবা ডেডিকেটেড কোন মাইনিং মেশিন।
ব্যাংক যেমন আপনার লেনদেন সম্পন্ন হবার গ্যারান্টি প্রদান করে তেমনি বিটকয়েনে ব্লকের মধ্যে এই সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। প্রতি সেকেন্ডে হওয়া লেনদেন গুলো তারিখ, দুই পক্ষ সহ বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষিত হতে এই মাইনিং সাহায্য করে। নেটওয়ার্কে যখনি কোন লেনদেন হয় তখনি বিভিন্ন জটিল গাণিতিক যুক্তি সমাধানের মাধ্যমে সেগুলো রেকর্ড হয়।
সুতরাং বলা যায়, ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং হল ক্রিপটোকারেন্সি ব্লকচেইনে সংগঠিত লেনদেন গুলোর Proof-of-Work (PoW) প্রক্রিয়া। এখানে প্রতিটি লেনদেন ভেরিফাই করা হয়। মাইনাররা নতুন কয়েন মাইন হতে সাহায্য করে এবং পুরো ব্লক চেইনে নতুন কয়েন জমা হয় বলে তাদের আর্থিক ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
আপনি কিভাবে ক্রিপটোকারেন্সি মাইন করবেন?
এখানে প্রথমেই বলতে হয়, কোন অ্যাপ রান করে রেখে এত সহজে আর্নিং করা গেলে সবাই এটার পেছনেই ছুটত কিন্তু না বিষয়টির সাথে আরও অনেক কিছু জড়িত। আশা করছি কিছুক্ষণ পরে ধারণাটি আপনার ক্লিয়ার হবে।
চলুন দেখে নেয়া যাক বিট কয়েন মাইন করতে আপনার কি কি দরকার হবে বা লাগবে।
একটি শক্তিশালী ক্রিপ্টো মাইনিং মেশিন লাগবে
প্রথমত আপনার শক্তিশালী একটি মেশিন লাগবে যা বিভিন্ন জটিল এলগোরিদম সলভ করতে পারবে কারণ বিটকয়েন মাইনিং এর কাজই হচ্ছে জটিল গাণিতিক যুক্তির সমাধান করা। আপনার কম্পিউটার যদি এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারে তাহলে ভাল আর যদি না পারে তাহলে এটা আপনার জন্য লাভজনক হবে না।
ভাল হয় আপনার যদি ASIC (Application Specific Integrated Circuit) মেশিন থাকে। এই মেশিন গুলো ডেডিকেটেড ভাবে ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ক্রিপ্টো হ্যাশ প্রবলেম সলভ করতে পারে।
এখানে বড় সমস্যা হল এই মেশিন গুলো বেশ ব্যয়বহুল, ব্যক্তিগত ভাবে কারো পক্ষে এটা কিনে রান করা প্রায় অসম্ভব। যেসব ফার্ম ক্রিপ্টো মাইনিং করে সে সমস্ত ফার্ম এই মেশিন গুলো ব্যবহার করে।
ক্রিপ্টো কারেন্সি মাইন করার আরেকটা উপায় হচ্ছে GPU (Graphics Processing Unit)। Nvidia এর হাই এন্ড গ্রাফিক কার্ডের মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে। গ্রাফিক কার্ড দিয়ে মাইনিং করা গেলেও এটি দিয়ে কখনোই ASIC মেশিনের মত দ্রুত মাইনিং করা সম্ভব নয়। যদি ASIC মেশিন এবং GPU এর মধ্যে প্রতিযোগিতা করানো হয় তাহলে সব সময় ASIC মেশিনই এগিয়ে থাকবে।
তবে এখানে সৌভাগ্যের বিষয় হল এমন কিছু কারেন্সি রয়েছে যেগুলো ASIC দিয়ে মাইনিং কে নিরুৎসাহিত করে এবং সেগুলো GPU দিয়ে মাইনিং উপযোগী। সুতরাং সব কারেন্সি মাইন করা না গেলেও কিছু কারেন্সি আপনি GPU দিয়ে মাইন করতে পারবেন। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে GPU এর দাম বেড়ে চলার অন্যতম কারণ এটি। GPU দিয়ে মাইনিং করা যাচ্ছে বলে GPU গুলোর দাম এবং পারফরম্যান্স বাড়ানো হচ্ছে।
সঠিক কারেন্সি নির্ধারণ করুন
যত ক্রিপ্টো কারেন্সি রয়েছে সব গুলোই মাইন করা যায় তবে সব কারেন্সি হোম ইকুইপমেন্ট দিয়ে মাইন করা লাভজনক নয়। আপনি যদি ব্যক্তিগত ভাবে মাইনিং করতে চান তাহলে আপনাকে এমন কারেন্সি নির্ধারণ করতে হবে যেগুলোকে ASIC ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে এবং GPU এর জন্য উপযুক্ত। এমন কিছু কারেন্সি রয়েছে যেগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ইনভেস্ট করতে হবে না এবং আপনি ভাল একটা রিটার্ন পাবেন।
যদি আপনি যেকোনো কারেন্সি নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে দুইটি সমস্যা তৈরি হতে পারে, হয়তো আপনি এমন কোন কারেন্সি নির্ধারণ করে ফেলবেন যা হোম পিসি দিয়ে মাইন করা যাবে না অথবা ASIC এর পেছনে যে পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করবেন মাইনিং করে সেটা পাবেন না। তাই মাইনিং এর আগে আপনার অবস্থা বিবেচনা করে কারেন্সি নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কোন কারেন্সি আপনার জন্য ভাল হবে সে বিষয়েও আলোচনা রয়েছে এই টিউনে, চিন্তার কিছু নেই।
মাইনিং সফটওয়্যার সেট আপ করুন
যখন আপনার একটি মাইনিং মেশিন থাকবে এবং কয়েনও সিলেক্ট করে ফেলবেন তখন আপনার একটি সফটওয়্যার লাগবে। মজার ব্যাপার হল বেশিরভাগ সফটওয়্যার গুলোও ওপেন সোর্স এবং ফ্রি তারমানে সফটওয়্যার ব্যবহারে আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না।
ইউজার ইন্টারফেস এবং হার্ডওয়্যার ক্যাপাবিলিটির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে আপনি চাইলে নিজের সুবিধা মত যেকোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
একটি ক্রিপটোকারেন্সি ওয়ালেট নিন
মাইনিং করলে আপনাকে কয়েন দেয়া হবে আর সেই কয়েন কালেক্ট করার জন্য আপনার একটি ওয়ালেটের দরকার হবে। এখানে ওয়ালেট বলতে আপনাকে একটি এড্রেস দেয়া হবে। আর এই এড্রেসেই আপনার বিটকয়েন জমা হবে। আর সহজে ফান্ড ম্যানেজ করতে সাহায্য করবে ওয়ালেট অ্যাপ।
যেকোনো ডিজিটাল ওয়ালেটের মতই ক্রিপ্টো ওয়ালেট দিয়ে আপনি ক্রিপ্টো কারেন্সি রিসিভ বা সেন্ট করতে পারবেন চাইলে পেমেন্টও করতে পারবেন। ইন্টানেটে বিভিন্ন ধরনের ক্রিপটোকারেন্সি ওয়ালেট সার্ভিস পাবেন। বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘদিন মার্কেটে আছে এমন একটি ওয়ালেট নিন।
ক্রিপ্টো মাইনিং পুলে যোগ দিন
ধরুন আপনি আপনার পিসির পিন ভুলে গিয়েছেন যা চার ডিজিট দিয়ে সেট করেছিলেন, এখন আপনি জানেন ০ থেকে ৯৯৯৯ এর মধ্যে যেকোনো নাম্বার দিয়ে এটা আনলক হবে। এবার আপনি কি করবেন প্রতিবার পাসওয়ার্ড তৈরি করে করে ট্রাই করবেন, যেটাকে Brute-Force ও বলা হয়, আর মোটামুটি এভাবেই বিট কয়েন মাইনিং কাজ করে।
মাইনাররা নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে সঠিক এলগোরিদম মিলানোর প্রতিযোগিতা করে এবং যে আগে বের করতে পারে সেই রিওয়ার্ড পায়। এই দিক বিবেচনায় এলগোরিদম সমাধান করতে স্বাভাবিকভাবেই আপনার হোম পিসি ডেডিকেটেড মেশিন থেকে পিছিয়ে থাকবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যেহেতু এলগোরিদম সমাধান করা মোটামুটি একটি প্রতিযোগিতা মূলক কাজ সেহেতু এই এ কাজটি করতে মাইনাররা বিভিন্ন পুল ক্রিয়েট করে। পুলের মাধ্যমে ওয়ার্ক লোক মেম্বারদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত মাইনাররা সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে পারে।
আপনি যদি ক্রিপ্টো মাইনিং নিয়ে সিরিয়াস থাকেন তাহলে প্রথমে বড় কোন অনলাইন Pool এ যুক্ত হয়ে যান।
মাইনিং শুরু করুন
উপরের সব গুলো বিষয় আপনার থাকলে, ক্রিপ্টো মাইনিং করতে আপনার আর কোন কিছুর দরকার নেই আপনি সফটওয়্যার রান করে মাইনিং শুরু করতে পারেন। অবশ্যই মাইনিং এর ক্ষেত্রে আপনার খরচ আর আয় ক্যালকুলেট করুন। ভাল প্রফিট পেতে ভাল কোন ক্রিপটোকারেন্সিতে শিফট করুন।
এবার আমাদের জানার পালা কোন ক্রিপটোকারেন্সি গুলো আমাদের জন্য লাভজনক। লাভজনক ক্রিপটোকারেন্সি বিবেচনা করার ক্রাইটেরিয়া হবে, এমন একটি কারেন্সি যেখানে রিটার্ন ভাল আসবে, যার এলগোরিদম ASIC রেসিস্টেন্ট হবে, যা GPU দিয়ে মাইন করাও লাভজনক হবে।
এখানে ASIC রেসিস্টেন্ট বিষয়টা হচ্ছে, কারেন্সির এলগোরিদম এমন ভাবে কনফিগার করা থাকে যা ASIC মেশিন দিয়ে মাইন করা লাভজনক হয় না, বিশেষ করে GPU এর জন্যই এলগোরিদম গুলো সেটআপ করা হয়। চলুন এই ক্রাইটেরিয়াতে ভাল কারেন্সি গুলো দেখে নেয়া যাক,
১. RavenCoin (RVN)
দারুণ একটি বিকেন্দ্রীভূত মাইনিং অ্যালগরিদম নিয়ে তৈরি কারেন্সি হল RavenCoin। যারা নতুন মাইনার তাদের জন্য দারুণ হতে পারে এটি। এই কয়েনের ব্লক টাইম ১ মিনিট, এবং রিওয়ার্ডও Bitcoin এর থেকে বেশি। ক্রিপটোকারেন্সি কারেন্সি হিসেবে এটা মোটামুটি নতুন, এটি যাত্রা শুরু করে ২০১৮ সালে তারপরেও এটি বেশ লাভ জনক।
২. Zcash (ZEC)
ASIC-resistant ক্রিপটোকারেন্সি গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে zcash। এটা কমার্শিয়াল মাইনিংকে নিরুৎসাহিত করে কনফিগার করা এবং GPU দিয়ে মাইন উপযোগী। এর রয়েছে প্রাইভেসি ফোকাসড ফিচার যা একে মাইনিং এ দারুণ করে তুলেছে।
৩. Dogecoin (DOGE)
Meme এর মাধ্যমে শুরু হলেও Dogecoin বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপটোকারেন্সি এবং রয়েছে দারুণ ROI এটি Scrypt protocol, ব্যবহার করে এবং এটি ASIC resistant যা GPU দিয়ে মাইন করা যায়। নতুন মাইনাররা এই কয়েন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করার সুযোগ রয়েছে।
৪. Grin (GRIN)
অনেক কারেন্সিতে প্রাইভেসি ফোকাসড ফিচার থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কারণ ক্রিপটোকারেন্সি গুলোর প্রাসঙ্গিকতা বছর ধরে বজায় রাখতে এটিকে কার্যকর ভাবে স্কেল করতে হয়।
Grin সেক্ষেত্রে গ্যারান্টি দেয়, তারা প্রাইভেসি বজায় রেখে লেনদেন করবে এবং লাইট ওয়েট প্রটোকল ব্যবহার করবে যা গ্রোথের মাধ্যমে স্ক্যালিং চালিয়ে যাবে। একই সাথে এটি ASIC রেসিস্টেন্ট মাইনিং এলগোরিদম ব্যবহার করে যা আপনার হোম পিসির জন্য উপযুক্ত।
৫. MonaCoin (MONA)
জাপানের একটি জনপ্রিয় ক্রিপটোকারেন্সি হল MonaCoin। এখনো Bitcoin অথবা Ethereum, এর মত সুনাম অর্জন না করতে পারলেও এর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারেন্সি GPU দিয়ে সহজে মাইন করার জন্য বেশ জনপ্রিয়।
৬. Vertcoin (VTC)
GPU দিয়ে মাইন করার Vertcoin এর চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে না। এটি যে শুধু ASIC রেসিস্টেন্ট তাই নয় এর একই সাথে দুইটি মাইনিং নেটওয়ার্ক রয়েছে যা বিশেষ করে GPU এর জন্যই বানানো।
এটি Nvidia এবং AMD গ্রাফিক কার্ড দিয়ে মাইনিং করার জন্য দারুণ উপযোগী। আপনিও হোম পিসি দিয়ে এই কয়েন মাইন করতে পারেন।
শেষ কথাঃ
মাইনিং এর জন্য আপনি কোন কারেন্সি বাছাই করবেন এটা নির্ভর করবে, আপনার কোনটি মাইনিং করার সক্ষমতা রয়েছে এবং কোনটা লাভজনক। যেমন কিছু কারেন্সি আপনি GPU দিয়ে মাইন করতে পারবেন যেখানে অন্য গুলো মাইন করতে ASIC মেশিন লাগবে। যদি আপনি GPU দিয়েই মাইন করতে পারেন তাহলে ASIC কেন ব্যবহার করবেন। আমি মনে করি ব্যক্তিগত ভাবে মাইনিং করতে অবশ্যই ASIC রেসিস্টেন্ট কোন কয়েন বাছাই করুন এতে ভাল প্রফিট রিটার্নের আশা করা যায়।
আশা করছি ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং নিয়ে ভাল একটা ধারণা দিতে পেরেছি, কেমন হল অবশ্যই জানান। কোন কিছু জানার থাকলে টিউমেন্ট করুন। পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।