পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

এর আগে চলতি এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। পরে ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঠিয়েছে ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পাঠান ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রবাসীরা রোজার শুরু ও মাঝামাঝিতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। শেষ দিকে তা কমে গেছে। যার কারণে চলতি মাসের প্রথমদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি থাকলেও শেষ দিকে কম ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল মার্চ মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।

এছাড়া আগের বছরের (২০২২ সালের) মার্চ মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮ দশ‌মিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কো‌টি ৮০ লাখ ডলার। গত বছর মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) ৯ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রফতানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।